ইউটিউব দেখে বাড়ির ছাদে ড্রাগন চাষ

ফলের পাশাপাশি গাছ থেকে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করেন স্বপন। বছরে লাভ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা।

ড্রাগন ফল
ফাইল ছবি

সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে উল্লাপাড়া পৌর শহরের ঝিকিড়া মহল্লা। বাসিন্দা কামরুজ্জামানের বাড়ির আঙিনা ও ছাদে ড্রাগন ফলের গাছ। ধরেছে লালচে রঙের ড্রাগন ও ফুল। বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ৫০০ গাছ সেখানে।

কামরুজ্জামান সিরাজগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিসংখ্যান সহকারী হিসেবে কর্মরত। এই কাজের পাশাপাশি ইউটিউবে ভিডিও দেখে ড্রাগন চাষের নানা রকম পদ্ধতি শেখেন। তিন বছর আগে শখের বশে অন্যের জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। প্রথমে ব্যর্থ হওয়ার পর এই ফলের চাষ শুরু করেন নিজ বাড়ির আঙিনা ও ছাদে। কামরুজ্জামান এখন উপজেলার সফল ড্রাগন ফলের চাষি।

ফলের পাশাপাশি গাছ থেকে চারা উৎপাদন করেও বিক্রি করেন কামরুজ্জামান। বছরে লাভ থাকে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। সম্প্রতি ঝিকিড়া মহল্লায় তাঁর দোতলা বাড়িতে বসে কথা হয় এ ফলের চাষ নিয়ে।

কামরুজ্জামান বলেন, তিন বছর আগে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম ড্রাগন ফলের চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর বিভিন্ন জাতের চারা সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর বাড়িই যেন একটি ড্রাগন ফলের বাগান।

কামরুজ্জামান আরও বলেন, বাড়ি থেকেই পাইকারি ও খুচরা ফল বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত ড্রাগন চারা বিক্রি হচ্ছে সারা দেশে। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ফল চাষে ঝুঁকছেন স্থানীয় বেকার যুবকেরাও।

উল্লাপাড়া কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন বলেন, এই ফলের চাষ করে বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ড্রাগন ফলের চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে।