বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো গ্রহণে প্রায়ই নানারকম প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ বা সীমাবদ্ধতাগুলো কী কী বলে আপনি মনে করেন?
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : প্রথমত, আমাদের ‘মাইন্ডসেট’ বা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে স্টিগমা বা নেতিবাচক সংস্কার। এ কারণে প্রথম বাধাটা আসে নিজের ভেতর থেকে—আমি কেন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নেব? আমি কি পাগল? এরপর পরিবারও মনে করে, কেন মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে হবে? অর্থাৎ, প্রথম বাধাটা মূলত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা।
দ্বিতীয়ত, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, অর্থাৎ সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোলজিস্ট—উভয়ের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। বর্তমানে মাত্র ৩৫০ জন সাইকিয়াট্রিস্ট আর ৫০০–এর মতো সাইকোলজিস্ট ১৭ কোটি মানুষের মানসিক সেবা দিচ্ছেন, যা খুবই কম। যেখানে মানসিক রোগের হার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ আর শিশু-কিশোরদের মধ্যে ১৩ শতাংশ। আবার এই বিশেষজ্ঞদের বেশির ভাগই অবস্থান করেন বড় শহরগুলোয়। তাঁদের কাছে পৌঁছানোই একটি সীমাবদ্ধতা।
তৃতীয়ত, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ছাড়া সরকারি পর্যায়ে উপজেলা কিংবা জেলাগুলোয় নেই কোনো মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো। ফলে প্রান্তিক মানুষের কাছে এই সেবা দূরগম্য। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে কাউন্সেলিং সেবা, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তবে খরচ বিবেচনায় সরকারি পর্যায়ে সাধারণের জন্য সহজলভ্য।
মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যাব্যবস্থায় কোন ধরনের পদ্ধতিগত বাধা বিদ্যমান, যেগুলো সেবা গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে? বাধাগুলো মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : বিশেষজ্ঞের ঘাটতি, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার অভাব—মোটাদাগে তিনটি বাধার কথা উল্লেখ করা যায়।
বাধা মোকাবিলায় রাতারাতি বিশেষজ্ঞের ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়। তাই 'জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতি ২০২২' এবং 'জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কৌশলপত্র ২০২২-৩০' অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনের যত্নের গুরুত্ব বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা, মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সচেতন করা জরুরি। পাশাপাশি অন্তত জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে হবে। যেসব জেলায় মেডিকেল কলেজ নেই, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এমবিবিএস পাঠক্রমে মানসিক স্বাস্থ্যকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে একজন নবীন চিকিৎসকেরও মানসিক রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের দক্ষতা তৈরি হয়।
আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহার করে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তি আরও কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। বিশেষ করে আমাদের দেশের জন্য, যেখানে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ সীমিত। ই-মেন্টাল হেলথ বা টেলিমেন্টাল হেলথ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অ্যাপস ইত্যাদি ব্যবহার করে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার দূরগম্যতা হ্রাস করা যায়। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ছোট আকারের কার্যক্রম চলমান, যা অত্যন্ত সফলভাবে কার্যকর। আধুনিক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হলে সব নাগরিক উপকৃত হবেন, চিকিৎসাব্যয় কমবে। তবে গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য টেকনিক্যাল রেগুলেটরি বডি থাকতে হবে। না হলে যেখানে–সেখানে অবৈজ্ঞানিক মানসিক চিকিৎসা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। কারণ, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো মান নিয়ন্ত্রক না থাকায় এর অপব্যবহার হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সামাজিক ভ্রান্ত ধারণা এবং বৈষম্যগুলো কীভাবে বাধা হিসেবে কাজ করে? এই বাধা নিরসনে আমরা কীভাবে সামগ্রিকভাবে কাজ করতে পারি?
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : এ ক্ষেত্রে তিনটি ক্ষেত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ—পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংবাদমাধ্যম। পরিবারে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে হবে। এই সমস্যাকে ব্যঙ্গ করা চলবে না। মনের যত্নের বিষয়টি পরিবার থেকেই আসতে হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে এবং পাঠক্রমের বাইরেও মনের যত্ন, মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক রোগের শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা প্রয়োজন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। ম্যাস মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রচলিত অফলাইন-অনলাইন— সব সংবাদমাধ্যমকে মানসিক স্বাস্থ্যবান্ধব হতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো যাবে না, সচেতনতামূলক সংবাদ ও ফিচার বাড়াতে হবে। এ ছাড়া মনের যত্নের জন্য উপযোগী অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে। আর মনের ওপর চাপ পড়ে, এমন অনুষ্ঠান যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।
বর্তমানে এ বিষয়ে যেসব সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ বা নীতিমালা রয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সেগুলো কতটা সফল হচ্ছে বলে মনে করেন? দু-একটা উদাহরণ কি দিতে পারেন?
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : বাংলাদেশ কিন্তু পৃথিবীর স্বল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে কেবল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আলাদা ‘মানসিক স্বাস্থ্যনীতি’ রয়েছে। রয়েছে পৃথক ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল’ এবং ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইন’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের জন্য 'স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ' নামক আলাদা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা পৃথিবীতে মাত্র ১৩টি দেশে রয়েছে। যেসব দেশ মানসিক স্বাস্থ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এই উদ্যোগ আর কর্মকৌশলের অংশ হিসেবে মাঠপর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ চলমান। আগামী বছর থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পৃথক ‘অপারেশনাল প্ল্যানে’র মাধ্যমে কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে অন্তত ৩২টি জেলার হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। থাকবে জেলা মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট। পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলমান। ইতিমধ্যে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের শয্যাসংখ্যা ২০০ থেকে ৪০০–তে উন্নীত করা হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক উচ্চশিক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকিয়াট্রি, চাইল্ড সাইকিয়াট্রি এবং সাইকোলজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। গত কয়েক বছরে সরকারি মেডিকেল কলেজে নতুন করে ৫২টি সাইকিয়াটিস্টের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি চাইল্ড সাইকিয়াট্রির জন্য বরাদ্দকৃত। অটিজমসহ স্নায়ু-প্রতিবন্ধকতা যাদের রয়েছে, তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে 'নিউরোডেভেলপমেন্টাল প্রটেকশন ট্রাস্ট অ্যাক্ট' গঠন করা হয়েছে। মানসিক রোগবিশেষজ্ঞদের জাতীয় সংগঠন 'বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস' পাঁচটি গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে, যা কেবল বিশেষজ্ঞদের নয়, বরং মাঠপর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক হবে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশলে আত্মহত্যা প্রতিরোধের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। আত্মহত্যার অন্যতম বড় কারণ মানসিক রোগ ও সঠিক সময়ে এর বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা গ্রহণ না করা। তাই আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য মানসিক রোগের চিকিৎসা গ্রহণ জরুরি।
যাঁরা প্রায়ই মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো কৌশল বা উদ্যোগগুলো কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে? আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে জানতে চাই।
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : 'টেলিমেন্টাল হেলথ' একটি সফল প্রকল্প। উপজেলা থেকে সরাসরি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এটির কলেবর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সুইডেন দূতাবাসের সহায়তায় ‘এমএইচগ্যাপ’ নামক একটি স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এটির মাধ্যমে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাথমিক সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে। ধাপে ধাপে সব জেলা ও উপজেলা এই প্রশিক্ষণের আওতায় আসবে।
মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিষেবাগুলো গ্রহণে অনেকেই নানাবিধ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। একজন মানসিক স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ হিসেবে সহজে ও সাশ্রয়ী উপায়ে তাঁদের সেবা গ্রহণে আপনি কী পরামর্শ দিতে চান?
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : প্রথমত, সব নাগরিকের কাছে মানসিক স্বাস্থ্য কেন গুরুত্বপূর্ণ, সেই বার্তা পৌঁছাতে হবে। এরপর মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিষেবাগুলো কোথায় পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে গণমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে প্রচার করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কিন্তু সরকারি পর্যায়ে অত্যন্ত সাশ্রয়ী, প্রায় বিনা মূল্যেই প্রদান করা হয়। কিন্তু সেবাকেন্দ্রে যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক খরচ কমাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্তি জরুরি, যা আমাদের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কৌশলপত্রের অন্যতম লক্ষ্য। এ ছাড়া ই-মানসিক স্বাস্থ্যসেবার (ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম) কলেবর বাড়াতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে আরও কী কার্যকর উদ্যোগ বা ভূমিকা রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। হোল সোসাইটি অ্যাপ্রোচ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর সংবাদমাধ্যম যদি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে, তাহলে মনের যত্ন আর মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে আরও বেশিসংখ্যক মানুষ উদ্বুদ্ধ হবেন। আর আমার পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এমবিবিএস পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠক্রম না সাজালে বড় ধরনের গ্যাপ থেকেই যাবে। কারণ, কোনো কোনো চিকিৎসক, এমনকি সাইকিয়াট্রিস্ট ছাড়া অপরাপর কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যেও মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক রোগ নিয়ে স্টিগমা আর ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। এর মূল কারণ এমবিবিএস পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্তি খুবই নগণ্য। তাই আমি গুরুত্ব দেব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা এবং এমবিবিএস কারিকুলামে মানসিক স্বাস্থ্যের যথোপযুক্ত অন্তর্ভুক্তির দিকে।
প্রথম আলো : আপনাকে ধন্যবাদ।
হেলাল উদ্দিন আহমেদ : ধন্যবাদ প্রথম আলোকে।