ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারিছবি: প্রথম আলো

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নারী, শিশুসহ সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা অবিলম্বে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১–এর গণহত্যা ভাস্কর্যের সামনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরাম’ ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শুরুর আগে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদের চত্বর প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে ৭১–এর গণহত্যা ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘বাঁচার মতো বাঁচতে দাও, নইলে গদি ছেড়ে দাও’; ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, ইউনূস সরকার জবাব চাই’; ‘অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করো, বিচার করো’; এ ধরনের স্লোগান দেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শতাব্দীকা উর্মি বলেন, ঘুম থেকে উঠে একের পর এক ধর্ষণ, ছিনতাই, খুনের খবরে দেশের মানুষ আতঙ্কিত। গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তাদের রাষ্ট্র চালনার ধরন দেখে মনে হচ্ছে তারা অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা করতে চায়। এই সরকারকে অবিলম্বে জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তা না পারলে ব্যর্থতা স্বীকার করে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানান এই শিক্ষার্থী।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। অথচ এখন আমাদেরকে নারীবান্ধব রাষ্ট্রের দাবি তুলতে হচ্ছে।’

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী কিশোয়ার সাম্য বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় পেয়েছে, এবার তাদের দায় নেওয়ার পালা, প্রতিটি ধর্ষণের দায় তাদের নিতে হবে, বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ ও ছাত্র ইউনিয়নের সংগঠক অরুণাভ আশরাফসহ আরও বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন