১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল হাইকোর্টের কার্যতালিকায়

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রয়েছে।

বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের কাল রোববারের কার্যতালিকায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা পৃথক ১২টি আপিল ১ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনতে এই বেঞ্চ নির্ধারণ করেন দেন।

ওই মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও ১২টি আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে ওঠে। ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি বেঞ্চের একজন বিচারপতি শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। পরে প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে পাঠান।

তবে এই বেঞ্চের বিচারিক এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি এগোয়নি বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আজ শনিবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য রয়েছে। আদালত শুনানির দিন ধার্য করে দিলে শুনানি শুরু হবে।

আলোচিত এই মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়, যা ক্রমিকের (৭/২০১৪) মধ্য দিয়ে ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

বিচারিক আদালতে কোনো মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণ ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান আটক করা হয়। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগে দুটি মামলা হয়।

মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া, দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ইতিমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হয়ে নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।