রোগীকে মারধর চিকিৎসার অংশ মনে করেন তিনি
পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম হত্যায় মাইন্ড এইড অ্যান্ড সাইক্রিয়াট্রি ডি অ্যাডিকশন হাসপাতালের মালিক ফাতেমা আক্তারসহ সাতজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রোগীকে মারধর করার বিষয়টি চিকিৎসার অংশ বলে দাবি ফাতেমার।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে আজ সোমবার রিমান্ডে আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া এসব তথ্য প্রথম আলোকে জানান।
এ ছাড়া আজ হাসপাতালের দুজন কর্মী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির বিপণন ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ ওরফে জয় (৩৫) ও ওয়ার্ড বয় সজীব চৌধুরী (২০)। এ নিয়ে ওই হত্যায় চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ দুপুরে আদাবর থানার পুলিশ রিমান্ডে থাকা আরিফ মাহমুদ ও সজীব চৌধুরীকে আদালতে পাঠায়। আদালত তাঁদের জবানবন্দি নেওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভিডিও ফুটেজে মারধরের যে দৃশ্য দেখা গেছে, তাতে তাঁদের যে ভূমিকা ছিল, তা তাঁরা স্বীকার করেছেন। এখন হাসপাতালের মালিক ফাতেমা আক্তারসহ সাতজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় দে আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রিমান্ডে ফাতেমা আক্তার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, মাইন্ড এইড অ্যান্ড সাইক্রিয়াট্রি হাসপাতালে রোগীকে যে মারধর করা হতো, তা তাঁরা জানতেন। এটা চিকিৎসার অংশ বলে দাবি তাঁর। রিমান্ডে থাকা বাকিরা ভিডিও ফুটেজের মারধরের দৃশ্যে কার কী ভূমিকা ছিল, তা–ও স্বীকার করেন।
মানসিক সমস্যায় ভুগে ২ নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আনিসুল। ভর্তির পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পরপর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তাকে ভর্তির পরই একটি কক্ষে নিয়ে হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মারধর করছেন। সোমবার রাতে আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগে তাঁর বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করেছেন। আনিসুল বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিকের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ছিলেন।