রাঙামাটিতে জনসংহতি সমিতির কর্মীকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের বড়াদম বাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেএসএসের কর্মীর নাম কমল বিকাশ চাকমা ওরফে বিক্রম চাকমা (৩৮)।
এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) জনসংহতি সমিতিকে (এমএন লারমা) দায়ী করেছে। তবে এমএন লারমা দায় অস্বীকার করেছে।
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৬৭ জন নিহত হলেন। এর আগে সর্বশেষ ঘটনা বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের ছোট কচুছড়ি গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কর্মী রিপেল চাকমা ও বর্ষণ চাকমা নিহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সক্রিয় কর্মী কমল বিকাশ সাংগঠনিক কাজে বড়াদম বাজারে আসেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে স্পিডবোটে করে এসে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত বাজারটি ঘেরাও করে। অস্ত্রধারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে কমল একটি দোকানে লুকিয়ে থাকেন। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে একটি ঘরের ভেতর তাঁকে খুঁজে পায়। এরপর তাঁকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। বিকাশের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আবার স্পিডবোটে করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
বিলাইছড়ি উপজেলার কেঙড়াছড়ি ইউনিয়নের কেরনছড়ি গ্রাম বিমলানন্দ চাকমার ছেলে কমল বিকাশ চাকমা। তবে কয়েক বছর ধরে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী এলাকায় বসবাস করছিলেন।
জনসংহতি সমিতির ( জেএসএস) বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বড়ঋষি চাকমা বলেন, এমএন লারমার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা স্পিডবোটে করে গিয়ে বড়াদম বাজারে হামলা চালায়। এ সময় কমল বিকাশ চাকমা নামে এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জনসংহতি সমিতির ( এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘রাঙামাটিতে আমাদের কার্যক্রম নেই। প্রতিপক্ষকে দায় চাপাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার জন্য এমএন লারমা দায়ী নয়।’
কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক বলেন, দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত কমল বিকাশ চাকমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর মাথা ও বুকে একাধিক গুলি লেগেছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়া চলছে।