বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৪১ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ দুদকে

নিট পোশাক রপ্তানির নামে জালিয়াতি করে প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ৪১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বহুল আলোচিত বিসমিল্লাহ গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকের করা জালিয়াতির দুটি মামলায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এতে বিসমিল্লাহ গ্রুপের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রাইম ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, বিসমিল্লাহ গ্রুপের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় করা ৭ ও ৮ নম্বর মামলার তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। কমিশনের অনুমোদন শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে যাঁদের নাম অভিযোগভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে তাঁরা হলেন, বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, গ্রুপের পরিচালক ও এমডির বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল) আবুল হোসাইন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল) রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান বে-ইয়ার্ণ লিমিটেডের মালিক গোলাম মহিউদ্দিন আহম্মেদ।
এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন, খোন্দকার ইকবাল হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) মো. ইব্রাহীম হোসেন গাজী, অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) এ বি এম শাহজাহান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ ইকবাল আজিম, মো. আবুল কালাম, ফার্স্ট অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফএভিপি) কাজী খাইরুল ইসলাম, কর্মকর্তা এ কে এম জান-ই আলম ও অডিট বিভাগের প্রধান ও ডিএমডি ইয়াসিন আলী।
বিসমিল্লাহ গ্রুপ দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর ৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদক। ১২টি মামলায় মোট ১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ নম্বর মামলার তদন্ত শেষে প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ৫৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও নয়টি মামলার তদন্ত চলছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।