বাবার নাক কেটে ছেলেকে কুপিয়ে জখম
পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাজশাহীর বাগমারায় মকবুল হোসেন (৪৬) নামের এক কৃষকের নাক কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তাঁকে উদ্ধার করতে এলে তাঁর ছেলেকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ডাকতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে , ডাকতা গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সেখানে উপস্থিত একই গ্রামের নফেল হোসেনের সঙ্গে তাঁর পূর্বশত্রুতা ছিল। ওই সময় দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। কিছুক্ষণ পর নফেল হোসেন ধারালো অস্ত্রসহ তাঁর ছেলে মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মকবুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। হাঁসুয়া দিয়ে মকবুল হোসেনের নাক কেটে ফেলেন। খবর পেয়ে মকবুলের ছেলে আতিকুর রহমান বাবাকে উদ্ধার করতে এলে তাঁর সঙ্গেও প্রতিপক্ষের মারামারি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আতিকুর রহমানকেও কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় নফেল হোসেনও আহত হন।
রাতে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় মকবুল ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে মকবুল হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর হাসান আলী বলেন, মসজিদের জমিতে আবর্জনা ফেলা নিয়ে মকবুল ও নফেলের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মকবুলকে কুপিয়ে নাক কেটে ফেলা হয়েছে। জখম করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মকবুলকে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে মকবুলের নাকে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আজ রোববার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।