বগুড়ায় পায়ুপথে বাতাস দিয়ে শিশুকে হত্যা
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় একটি পাটকল কারখানায় হাওয়া যন্ত্রের (কমপ্রেসর) যন্ত্রের সাহায্যে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে এক শিশুশ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কারখানাটির আরেক শ্রমিক কে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কাহালু উপজেলার মুরইল এলাকায় আফরিন জুট মিলস লিমিটেড নামে একটি পাটকল কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম মো. আলাল (১২)। সে কাহালু উপজেলার ঢাকন্তা গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, আলাল ও যতীন কর্মকার (২৭) ওই কারখানায় কাজ করেন। কারখানায় কাজ করার সময় হাওয়া যন্ত্র আলালের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেয় যতীন। এতে আলাল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে যতীন কর্মকারকে আটক করা হয়েছে। যতীন বগুড়ার শাজাহানপুর খড়না কর্মকারপাড়ার সন্তোষ কুমার কর্মকারের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যতন শিকার করেছে, ঠাট্টার ছলে হাওয়া যন্ত্র পায়ু পথে ধরায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর কারণে পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে শিশুটি মারা গেছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল তিনটার দিকে আলাল নামে ওই রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আফরিন জুট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খলিলুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
শিশুটির বাবা মোজাহার আলী বলেন, ‘সংসারত অভাব ঘুচাবার জন্যি ছলডা কারখানাত কাজ লিচল। বিয়ানবেলা ছলডা কারখানাত যাবার সময় কয়' সন্ধ্যাত আসিচ্চি, সন্ধ্যাবেলা আসপ্যার কথা কয়্যা ছলডা আর ফিরলনা। এখন হামার সংসার ক্যামনে চলবি।’