দৌলতদিয়ায় চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ভাড়ায় চালিত এক মোটরসাইকেলচালককে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। চালকের মোটরসাইকেলটিও পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে হত্যা করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত চালকের নাম মঞ্জু শেখ (২৮)। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের রহমান ফকিরপাড়া এলাকার বাবলু শেখের ছেলে। তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। তাঁর স্ত্রী ও মুসলিমা নামে পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।
মঞ্জুর শেখের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে দৌলতদিয়া আক্বাস আলী উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে আইনউদ্দিন ব্যাপারীপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর শাখা খালের পাড়ে মঞ্জুর শেখের লাশ পাওয়া যায়। তাঁর দেহের অর্ধেক পানিতে ও অর্ধেক ডাঙায় ছিল। সকালে স্থানীয় কৃষকেরা জমিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁর লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তাঁর থুতনির নিচে, ঠোঁটের ওপরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল, পায়ের রগ কাটা ছিল।
নিহত চালকের বাবা বাবলু শেখ প্রথম আলোকে জানান, বাড়ির কাছে হামিদ মৃধার হাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত যাত্রী আনা–নেওয়া করতেন তাঁর ছেলে। গতকাল শুক্রবার বেলা একটার দিকে গোসল করার সময় অপরিচিত এক তরুণ বাড়ির কাছে এসে ফোন করলে মোটরসাইকেল নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যান মঞ্জুর। ওই সময় তিনি অপরিচিত তরুণের পরিচয় জানতে চাইলে মঞ্জুর যেতে যেতেই জানান, ‘তুমি চিনবে না, মুরগির খামারে চাকরি করে। মোটরসাইকেলে করে ঘাটে যাবে।’
সবশেষ রাত ১০টায় বাড়ির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয় মঞ্জুরের। ওই সময় তিনি দৌলতদিয়া ঘাটে আছেন, শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন বলে জানান। তবে দিবাগত রাত তিনটার সময় মঞ্জুরের স্ত্রী বাবলু শেখকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানান, মঞ্জুর বাড়ি ফেরেননি। এরপর মঞ্জুরকে ফোন করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বাবলু শেখ জানান, ছেলের ১২৫ সিসি বাজাজ ডিসকভারি মোটরসাইকেলটি খোয়া গেছে। মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।