দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দাবি অনুযায়ী মূল হামলাকারী রবিউল। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। রবিউল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রবিউলকে আদালতে তোলার আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কড়া পুলিশ প্রহরায় বেলা ১১টার দিকে কালো মাইক্রোবাসে করে রবিউলকে আদালতে নিয়ে যান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আঞ্জুমান আরা বেগমের আদালতে।
৯ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের ধামাহার ভীমরুল গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে রবিউলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। ১২ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী ও একমাত্র হামলাকারী তিনি নিজে। পরে ওই দিনই তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। বিচারক তাঁর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল বলেছেন যে আক্রোশ থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।