এমসি কলেজে ‘ছাত্রলীগের দখলে থাকা’ কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ‘ছাত্রলীগের দখলে থাকা’ কক্ষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় পাইপগানসহ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে। শনিবার ভোরের দিকে শাহপরান থানার পুলিশ ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়।
ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক মো. জামাল উদ্দিন পুলিশের অভিযানের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কক্ষে তল্লাশি কেন করা হয়েছে, এ বিষয়ে কোনো তথ্য ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে নেই বলে তিনি জানান।
সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণকারীদের শনাক্ত করতে শুক্রবার রাত থেকে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। ভোর সাড়ে চারটার দিকে শাহপরান থানার একদল পুলিশ ছাত্রাবাসে অবস্থান নেয়। পরে তল্লাশি করতে গিয়ে একটি কক্ষ থেকে পাইপগানসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শাহপরান থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণে জড়িত থাকতে পারেন ছাত্রলীগের এমন ছয়জনের নাম পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। এই ছয়জনের একজন এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক ছাত্র মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। তাঁর দখলে ছিল ছাত্রাবাসের ওই কক্ষ। কক্ষ থেকে পুলিশ একটি পাইপগান, চারটি রামদা, দুটি চাপাতি ও একটি ছোরা উদ্ধার করেছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে নগরীর টিলাগড় মোড়ে এমসি কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে কলেজটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। কলেজ বন্ধ থাকলেও এই কর্মসূচিতে এমসি কলেজের সব সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন সম্পৃক্ত থাকবে বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন।
স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের একটি কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে। করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রাবাস বন্ধ ছিল। তবে ছাত্রাবাসের ওই কক্ষ ২০১২ সাল থেকে ছাত্রলীগের দখল করা কক্ষ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ উঠেছে, ওই কক্ষে থাকা ছাত্রলীগের একটি পক্ষের ৬-৭ জন কর্মী এ ঘটনায় জড়িত।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার একদল পুলিশ সেখানে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত ধর্ষকদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ফেলে যাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আর ওই দম্পতির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।