উচ্চ শব্দে গান বাজাতে মানা করায় পিটিয়ে হত্যা!
ঝালকাঠির নলছিটিতে পিকনিকে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় মো. জলিল হাওলাদার (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মগঢ় ইউনিয়নের মারুহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত জলিল হাওলাদার দীর্ঘ ৩৫ বছর সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটিয়ে গত বছর দেশে ফিরে গ্রামের বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী ও মগঢ় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মাসুম হাওলাদারের বখাটে ছেলে মুঈন খান বাপ্পি (৩৫) দলবল নিয়ে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে ইউপি সদস্য মাসুম ও তাঁর ছেলে পরিবারসহ পলাতক আছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মগঢ় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুম হাওলাদারের ছেলে মুঈন খান বাপ্পি তাঁর বন্ধুদের নিয়ে মারুহার গ্রামের ইজ্জত আলী হাওলাদার বাড়িতে পাঁচ দিনব্যাপী পিকনিকের আয়োজন করে। সেখানে উচ্চ শব্দে গান ও হইচইয়ের কারণে পাশে নামাজ পড়তে যাওয়া মসজিদের মুসল্লিরা প্রতিবাদ করেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মুঈন খান ও তাঁর দলবলকে জলিল হাওলাদার উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে জলিলের বাদানুবাদ হয়। এর জের ধরে রাত ১২টার দিকে মুঈন খানের নেতৃত্বে মিলন মিয়া ও সবুজ মিয়া তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
এ বিষয়ে নিহত জলিল হাওলাদারের ভাগনে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার মামা উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় মুঈন দলবল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় মুঈনের বাবা ইউপি সদস্য মাসুমের ইন্ধন আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
মগঢ় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম ফকির বলেন, ‘মুঈন খান বাপ্পি এলাকায় বখাটেপনা করেন। তাঁকে উচ্চ শব্দে গান না বাজতে এলাকাবাসী নিষেধ করেছিলেন।’
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’