সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় আরও তিনজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তাঁরা হলেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫) এবং এজাহারের বাইরের দুই আসামি মো. আইনুদ্দিন (২৬) ও রাজন মিয়া (২৭)। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।
রোববার রাতে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহবুবুরকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. আইনুদ্দিন ও রাজন মিয়াকে আটক করা হয়। সোমবার রাতে র্যাব ওই দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) খোকন কুমার দত্ত বলেন, তিন আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে সোমবার একই মামলার এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তার তিন আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন একই আদালত। এ নিয়ে এই মামলায় ছয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো। এর মধ্যে সোমবার থেকে তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামি মাহফুজুরকে সোমবার রাতে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে কানাইঘাট থানা-পুলিশ। তাঁকেসহ এই মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি চারজন আসামির মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ থেকে এবং বাকি তিন আসামি অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ওরফে হাসান ও শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে রনিকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এজাহারভুক্ত আসামি তারেকুল ইসলাম এখনো পলাতক আছেন।
গত শুক্রবার স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। নাম উল্লেখ করা ছয় আসামি হলেন সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।