ছাত্রনেতাকে ৪৭ দিন গুম করে রাখার মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান সোহায়েলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম করার অভিযোগে নতুন একটি মামলায় (মিস কেস) চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েলকে আসামি করা হয়েছে। তাঁকে এই মামলায় আগামী ১৮ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গোলাম মোর্তোজা নামের একজনকে গুম করার অভিযোগে আজ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়। এই মামলার একমাত্র আসামি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল। গুমের ওই ঘটনার সময় তিনি র‍্যাবের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম শাখা) ছিলেন।

আজ শুনানির পর ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ২০১২ সালের দিকে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর থেকে ছাত্রশিবিরের তৎকালীন নেতা গোলাম মোর্তোজাকে তুলে নিয়ে যান রাব সদস্যরা। পরে আয়নাঘরে তাঁকে ৪৭ দিন আটকে রাখা হয়। ওই সময় র‌্যাবের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন সোহায়েল।

প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা সোহায়েলের নির্দেশে গুমের ওই ঘটনা ঘটেছিল।

গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদ সোহায়েলকে নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্য মামলায় ৩ পুলিশ কারাগারে

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

তাঁরা হলেন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী ও ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।