রাজধানীর ডেমরায় এক কিশোরীকে (১৭) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী ডেমরা এলাকার একটি প্যাকেজিং কারখানায় চাকরি করে। ফেসবুকে সোহাগ মিয়া নামের এক তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয়।
ওসি আরও বলেন, গত সোমবার বিকেলে ওই কিশোরীকে দেখা করতে বলেন সোহাগ। দেখা করার পর তাকে ডেমরা থানার লাল শাহ মাজার রোডের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সোহাগ ও তাঁর বন্ধুরা মিলে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। গতকাল মঙ্গলবার মেয়েটি ডেমরা থানায় ধর্ষণের মামলা করে।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, মামলার তদন্তকালে কিশোরীর জবানবন্দি পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ধর্ষকদের শনাক্ত করা হয়। গতকাল রাতে ডেমরার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহাগ মিয়া (২০), আল আমিন হোসেন ওরফে বাবু, মো. মিলন (২৪) ও মো. সাজুকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডিএনএ পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।