ধর্ষণ মামলার আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদকে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। আদালত শর্ত দিয়েছেন, তিনি মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যেতে পারবেন না।
খন্দকার মুশতাক আহমেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানির সময় গতকাল রোববার এই নির্দেশনা দেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম। আজ সোমবার প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
অ্যাটর্নি জেনারেল প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদকে আগাম জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। গতকাল শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল রোববার খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগীকে বাবার জিম্মায় দেওয়ার আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা।
ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলা করেন শিক্ষার্থীর বাবা।
শিক্ষার্থীর বাবার করা ধর্ষণ মামলায় ১৭ আগস্ট খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর বয়স নির্ধারণ করতে বলেছেন আদালত। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রীকে সেফ কাস্টডিতে (নিরাপদ হেফাজত) রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে। আদালত বাদীর (ছাত্রীর বাবা) জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করার আদেশ দেন। সে অনুযায়ী মামলাটি থানা-পুলিশ নথিভুক্ত করে। পরে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পান অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী।