জঙ্গি হামলার ভয়াবহ সেই দিন আজ
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয়েছিল রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে। আট বছর আগে ২০১৬ সালের এই দিনে জঙ্গিরা অস্ত্রের মুখে বেকারিতে থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের প্রথমে জিম্মি করে।
হামলার ভয়াবহতা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই রাতে জিম্মিদের উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, নৌ কমান্ডো ও সেনাবাহিনী যুক্ত হয়। জঙ্গিরা গুলি করে ও কুপিয়ে রেস্তোরাঁয় আসা নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে। সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে পরদিন সকালে শেষ হয় ১২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মিদশার।
অভিযানে পাঁচ জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ, সামিউল মোবাশ্বির, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম নিহত হন।
সেই রাতে জঙ্গিরা কুপিয়ে ও গুলি করে মোট ২২ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। জঙ্গি হামলায় ওই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো দেশ।
অভিযানে পাঁচ জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ, সামিউল মোবাশ্বির, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম নিহত হন।
এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তবে সরকার আইএসের এই দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, দেশীয় জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি এই হামলার জন্য দায়ী।
জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে আজ সোমবার সকালে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও সংগঠন গুলশানের হামলার স্থানটিতে শ্রদ্ধা জানাবে। এ ছাড়া নিহত দুই পুলিশ সদস্যের স্মরণে পুরাতন গুলশান থানার সামনে নির্মিত ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।