বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূরের মৃত্যুর ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে র্যাব। আর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন বলেই তদন্তকারীরা মনে করছেন।
আজ বুধবার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। র্যাব শুরু থেকেই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে।
এদিকে গণমাধ্যমে র্যাব বার্তা পাঠানোর পর মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন বলেই তদন্তকারীরা মনে করছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মতামত নিয়ে এবং ডিবির তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে ৪ নভেম্বর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা মামলা করেন। মামলায় ছেলের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার বুশরা পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।
মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি বলছে, বন্ধু বুশরার সঙ্গে রিকশায় করে ৪ নভেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ফারদিন রামপুরা সেতু এলাকায় যান। সেখান থেকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় যান ১০টা ৫৩ মিনিটে। এরপর রাত ১১টা ৯ মিনিটে পুরান ঢাকার জনসন রোডে যান। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে ফারদিনের অবস্থান ছিল গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট এলাকায়। পরে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে রাত ১টা ৫৯ মিনিটে আরেক বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্তার তথ্য পাওয়া যায়। রাত ২টা ৩ মিনিটে যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় উঠে তারাব হয়ে বরপা যান ফারদিন। এরপর ফারদিন নূর কোথায় গিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ডিবির কর্মকর্তারা।