দুই হাত হারানো রফিকুল সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে
দুই হাত হারানো রফিকুল ইসলাম ওরফে শরীফকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ভাটারার মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
রফিকুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। দলটি জানিয়েছে, ২০০১ সালে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন রফিকুল। তখন তাঁর দুটি হাত পুড়ে যায়। এতে তাঁকে দুই হাতই হারাতে হয়। কারও সহযোগিতা ছাড়া তিনি খাবারও খেতে পারেন না। এ ছাড়া ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত তিনি। ফজরের নামাজ পড়ে গত বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি ভাটারার মাদানি অ্যাভিনিউতে হাঁটতে বের হন। সেখান থেকে পিকেটার সন্দেহে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা তাঁকে ধরে টহল পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা রফিকুল ইসলামকে আটক করেননি কিংবা তাঁকে নির্যাতনও করেননি। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতা। চলতি বছর ভাটারা থানায় হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মামলায় পুলিশ আজ তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রফিকুলের পক্ষে মামলা শুনানি করেন আইনজীবী শামসুল ইসলাম আকন্দ, শাকিল উদ্দিন ও রেজাউল করিম।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলামের আইনজীবী শাকিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রফিকুল ইসলামের প্রতি জুলুম ও তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদের ভাষা নেই।