নারী নির্যাতনের সংশোধিত আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিয়ে নারীপক্ষের উদ্বেগ

বিবৃতিপ্রতীকী ছবি

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধন এনে দ্রুত বিচার ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংগঠন নারীপক্ষ। তারা মনে করে, জনতুষ্টির জন্য তড়িঘড়ি আইন সংশোধন অবিবেচনাপ্রসূত; যা অপরাধের সুবিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

আজ রোববার নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীমের সই করা বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নারী ও শিশুর ওপর ধর্ষণ এবং যৌন আক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০”–এর অধিকতর সংশোধন করতে দ্রুত বিচার এবং মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ আমাদেরকে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত করছে। সমস্যার মূলে না গিয়ে কেবল জনতুষ্টি আদায়ের জন্য তড়িঘড়ি আইন সংশোধন অবিবেচনাপ্রসূত, যা নারী ও শিশু নির্যাতন এবং তাদের ওপর ধর্ষণ ও যৌন আক্রমণ বন্ধে কোনো সমাধান আনবে না। বরং অপরাধের সুবিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে আইন উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে নারীপক্ষের অবস্থান ও বক্তব্য স্পষ্ট করে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলে নারীপক্ষ প্রত্যাশা করে।

ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমিয়ে অর্ধেক করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে গত বুধবার জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

এর আগে গত রোববার আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ধর্ষণের মামলায় তদন্তের সময় ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করা হচ্ছে। আর বিচার শেষ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। এ ছাড়া উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করেন, তবে ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়াই চিকিৎসা সনদের ভিত্তিতে এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষীর ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ চালাতে পারবেন। এমন বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন