৪ হাসপাতালে রোগীর চাপ, শয্যাসংকট

বিধিনিষেধে থাকা ১৩ জেলায় করোনার ঊর্ধ্বগতি। দেশে এক মাস পর রোগী শনাক্ত দুই হাজার ছাড়াল। মৃত্যুও সর্বোচ্চ

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সরকারি বিধিনিষেধের আওতায় থাকা ১৩ জেলার চারটি বড় হাসপাতালে রোগীর শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলো হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল। রোগীর চাপের কারণে এসব হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে তা ঢাকায় স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে।

কদিন ধরে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা এবং খুলনা, বাগেরহাট, নাটোর, নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলায় করোনার ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা গেছে। এই জেলাগুলোর অনেক হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা চালু করা যায়নি এখনো। রয়েছে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সংকট। এসব জেলার কোথাও লকডাউন, কোথাও বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে সীমান্তের জেলাগুলোতে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সংখ্যার দিক থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা মহানগরীতে, ৩৪৭ জন। তবে এখানে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কম, ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী জেলায়। সীমান্তবর্তী এই জেলায় শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সীমান্তের আরেক জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই জেলায় শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। সীমান্তের আরেক জেলা যশোরে শনাক্ত হয়েছে ১২৫ জন নতুন রোগী, এখানে শনাক্তের হার সর্বোচ্চ, ৪৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এই জেলাগুলোর বাইরে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও খুলনায় শতাধিক নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। খুলনায় ১৫১ জন এবং চট্টগ্রামে ১২৯ নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল আটটা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ৩২২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর দৈনিক শনাক্ত দুই হাজার ছাড়াল। সর্বশেষ এক দিনে দুই হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিও গত এক মাসের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ৯ মে এর চেয়ে বেশি ৪৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ হাজার ১৬৫ জনের কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। রোগী শনাক্তের এই হারও প্রায় দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার এর চেয়ে বেশি, ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ ছিল গত ২৭ এপ্রিল।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় সংক্রমণ বেশি, সেখানে লকডাউন জোরদার করতে হবে। এসব জেলায় সংক্রমণ শনাক্তের পরীক্ষা এবং কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং (আক্রান্ত ব্যক্তি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা) কার্যক্রম বাড়াতে হবে। যথাযথভাবে রোগী ব্যবস্থাপনা করতে হবে। নয়তো পরিস্থিতি গত মার্চ-এপ্রিলের মতো নাজুক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চার হাসপাতালে শয্যাসংকট, জনবলে চাপ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে শয্যাসংখ্যা ২৩২। গতকাল বিকেল পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিল ২৫৭ জন। এই হাসপাতালের ১ নম্বর ওয়ার্ডেও করোনার চিকিৎসা চালু করার কাজ শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দু-এক দিনের মধ্যেই সেখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা চালু করে রোগী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে উপপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

এই হাসপাতালে করোনার চিকিৎসায় আরও ১৫ জন চিকিৎসককে নিয়োজিত করা হয়েছে। তাঁরা কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতালে আইসিউ রয়েছে ১৮টি। কিন্তু আইসিইউর চাহিদা বাড়ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটের সব কটি শয্যা গতকাল পর্যন্ত পূর্ণ ছিল। করোনা ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক ও তথ্য কর্মকর্তা আহনাব শাহরিয়ার গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সারা দিনে করোনা ওয়ার্ডে সাতটি শয্যা ফাঁকা হয়েছিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো পূরণ হয়ে গেছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি এমন রোগী আছেন, যাঁদের অক্সিজেন লেভেল কম। তাঁদের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি নেওয়া দরকার। কিন্তু শয্যার অভাবে নেওয়া যাচ্ছে না।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনার জন্য ডেডিকেটেড। দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে রোগীর চাপ বাড়ছে। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে আর কোনো শয্যা খালি নেই। হাসপাতালের ২০টি আইসিইউর একটিও খালি নেই। রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতালে চলতি মাসে গড়ে প্রতিদিন ১১৪ জন রোগী ভর্তি থাকছেন। শয্যা না থাকায় করোনা ইউনিটের মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে অনেকের।

এই হাসপাতালে জনবলসংকটও দেখা দিয়েছে। শয্যার বেশি রোগী থাকায় একেকজন চিকিৎসক ও নার্সের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ছে। খুলনায় যেখানেই হোক, এখনই জনবল দিয়ে আরও বড় পরিসরে করোনার জন্য বড় হাসপাতালের চিন্তা করতে হবে বলে মত দিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনার দুটি ওয়ার্ডে ৫৬টি শয্যা আছে। গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে করোনা পজিটিভ ও সন্দেহভাজন হিসেবে ৬৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাই হাসপাতালে অতি জরুরি রোগী ছাড়া অন্য কোনো রোগী ভর্তি নেওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালটির মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির বলেন, করোনা রোগী ভর্তির চাপ ব্যাপক। এ জন্য আরেকটি ৩৬ শয্যার ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। বুধবার থেকে এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি শুরু হবে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেছেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকলেও কোনোভাবে চালানো হচ্ছে। তবে চিকিৎসা সরঞ্জাম যা আছে, তা আপাতত চলবে। হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা যা আছে, তবে সীমিত। আরও ১৫-২০টা এই মুহূর্তে সরবরাহ পেলে ভালো হতো।

এসব হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও শিক্ষকেরা বলেছেন, ঢাকায় যখন করোনার প্রকোপ বেশি ছিল, তখন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন দেশের যেসব অঞ্চলে করোনার প্রকোপ কম, সেখান থেকে চিকিৎসক খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরার মতো উচ্চ সংক্রমণশীল জেলায় নিয়ে আসা দরকার। এতে জনবলসংকট কাটানো যাবে।

বাকি জেলায় হাসপাতালে রোগী বাড়ছে

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০ থেকে ১২ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটে ৫৭ জন ভর্তি আছেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহমেদ বলেন, করোনা ইউনিটে সপ্তাহখানেক আগে দিনে দু-একজন ভর্তি হতেন। এখন সেখানে ১০-১২ জন ভর্তি হচ্ছেন।

তবে যশোর জেনারেল হাসপাতাল তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিট ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো লোকবল নেই। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ প্ল্যান্ট বসানো হলেও এখনো চালু হয়নি। সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়ে চালানো হচ্ছে। সেই অক্সিজেনেরও অভাব রয়েছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আরিফ আহমেদ বলেন, করোনা ইউনিটে চিকিৎসক, অক্সিজেন বা ওষুধ যথেষ্ট থাকলেও সবচেয়ে বড় সমস্যা আইসিইউ ব্যবস্থাপনা নিয়ে। আইসিইউ ইউনিটে কোনো লোকবল দেওয়া হয়নি। যে কারণে এই ইউনিট চালিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৬ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্সসহ মোট ৩২ জন লাগবে এই ইউনিট চালাতে। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

করোনা চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ আধুনিক হাসপাতালসহ ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১টি শয্যা রয়েছে। জেলার ১১টি সরকারি হাসপাতালের কোনোটিতেই আইসিইউ শয্যা নেই। জেলায় বর্তমানে ৩৯৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৫৪ জন করোনা ইউনিটে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিদের অধিকাংশই বাড়িতে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, করোনা রোগী বেড়ে গেলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সদর হাসপাতালে আরও ৭০টি শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে ওই হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ৪০ শয্যার করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চালু হওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। এখানে আইসিইউ নেই। তবে যাঁদের আইসিইউ প্রয়োজন হবে, তাঁদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

বাগেরহাটে ৫০ শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ব্যবহার করার মতো ভেন্টিলেটর নেই। প্রশিক্ষিত জনবল না থাকায় তিনটি আইসিইউ বেড থাকলেও আইসিইউ চালু করা যাচ্ছে না। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যার হলেও জনবলকাঠামো এখনো ৫০ শয্যার হাসপাতালের। তাতে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ, চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ শূন্য আছে।

নোয়াখালী জেলা শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের করোনা হাসপাতালে ১২০ শয্যার ব্যবস্থা আছে। সেখানে গতকাল ৪৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। করোনা রোগী বাড়লে মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীদের উপজেলা পর্যায়ের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হবে। জেলার ৯টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি আইসোলেশন ইউনিট এবং সেখানে ১০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২৫০ শয্যার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ১১৯ শয্যার পৃথক ৩টি করোনা ইউনিট ছাড়াও জেলায় ৩টি উপজেলা হাসপাতাল ও ১২টির বেশি বেসরকারি আইসোলেশন সেন্টারে প্রায় ৬০০ রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।

নতুন করে লকডাউন, বিধিনিষেধ

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকাল নতুন করে খুলনার পাইকগাছা, নাটোর সদর ও সিংড়ায় লকডাউন জারি করা হয়। যশোর ও অভয়নগর পৌরসভাকে বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে।

খুলনা নগরের তিন থানা এলাকায় জারি করা এক সপ্তাহের বিধিনিষেধের গতকাল ছিল পঞ্চম দিন। তবে সড়কে যানবাহন চলাচল এবং মানুষের আনাগোনা ছিল বেশি। নগরের বড় বড় বিপণিবিতান বন্ধ ছিল।

বাগেরহাটে বেশি ঝুঁকিতে আছে মোংলা। সেখানে গত ৩০ মে থেকে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। প্রশাসনের তদারকির মধ্যে লুকোচুরি করে চলছে স্থানীয় ব্যক্তিদের চলাফেরা।

সংক্রমণ পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় যশোর ও অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার সব ওয়ার্ডে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরীক্ষা অনেক স্থানে বিনা মূল্যে

রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজারসহ কয়েকটি স্থানে কোনো রকম ফি ছাড়াই করোনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে। তবে বেশির ভাগ স্থানেই আরটি–পিসিআর ল্যাবে বা রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানোর জন্য ১০০ টাকা করে ফি দিতে হচ্ছে।

খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও জয়পুরহাটে করোনা পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে। জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আরিফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নমুনা পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। তারপরও কারও আর্থিক সংকট থাকলে বিনা মূল্যে পরীক্ষা করে দেওয়া হয়।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক প্রতিনিধিরা]