গণতন্ত্র থাকলে উন্নয়ন সুসংহত হয়

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনে গতকাল সোমবার ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ছবি: সংগৃহীত

গণতন্ত্র থাকলে উন্নয়ন সুসংহত হয়। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একই সুতায় গাঁথা। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শিরোনামে ওই সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, উন্নয়ন করতে হলে প্রয়োজন প্রযুক্তি। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের বিকাশের মাধ্যমেই বিকশিত হবে তথ্যপ্রযুক্তি।

বিশেষ অতিথি বুয়েটের সহ-উপাচার্য আবদুল জব্বার খান বলেন, ‘আমরা দূরত্বকে এখন আর কিলোমিটার কিংবা মাইলে নির্ণয় করি না। এখন আমরা দূরত্বকে সময় দিয়ে প্রকাশ করছি। এটিই উন্নয়নের নিদর্শন। এই উন্নয়নগুলো গণতন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, উন্নয়ন সুসংহত হবে, যদি গণতন্ত্র থাকে। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একই সুতায় গাঁথা। এটি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আর এসবের মূল ভিত হলো শিক্ষা।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক ছিলেন বুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্যরা। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক সদস্য শাহ আবদুল লতিফ, দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট জামাল উদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আনোয়ারা বেগম ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বক্তব্য দেন।