২১ বিদ্যালয়ের জমি, ৪টির ভবন বেদখল
রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২৫০ জন। বিদ্যালয়টির বেশ বড় একটি মাঠ ছিল। সেখানে শিশুরা খেলতে পারত। তবে প্রায় ৪০ বছর ধরে মাঠটি বেদখল। মাঠের জমিতে গড়ে উঠেছে বস্তি। সেই বস্তি থেকে মাসে মাসে ভাড়া ওঠান স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৪৪ সালে। স্থানীয় নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানেরা এই বিদ্যালয়ে পড়ে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির তিনতলা ভবনের সামনে এক চিলতে ফাঁকা জায়গা। বাকি জমিতে বস্তি। শিক্ষকেরা বলেন, বিদ্যালয়টির জমির মোট আয়তন ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই বেদখল।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমার কক্ষে গেলে তিনি দেয়ালে ঝোলানো একটি ব্যানার দেখিয়ে বলেন, জমি যে বেদখল, তা লেখা আছে। তবে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা বস্তি উচ্ছেদ করা সহজ ছিল না। এই জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব, এটা কেউ কল্পনা করেনি। কারণ, বস্তির নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রভাবশালীদের কাছে।মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, কাজীফরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
ঢাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৩৪২টি। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা যায়, এর মধ্যে অন্তত ২১টি বিদ্যালয়ের জমি ও ৪টির ভবনের একাংশ বেদখল। কোথাও বিদ্যালয়ের জমি দখল করে বস্তি গড়ে উঠেছে, কোথাও বসেছে বাজার, কোথাও বসেছে ঢাকা ওয়াসার পানির পাম্প, কোথাও গড়ে উঠেছে ভবন। বিদ্যালয়ের ভবনের একাংশ দখল করে অন্য বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতেও দেখা গেছে।
এই দখলদারি চলছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ নেই। দখলদার মুক্ত করতে না পারায় বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলতে পারে না। আবার সরকার রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করতে যে প্রকল্প নিয়েছে, তা-ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না দখলদার মুক্ত না হওয়ায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গত ২৩ মার্চ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দখলের অনেক খবর পাচ্ছি। তার তথ্য সংগ্রহ করছি। অনেকে ভুয়া নথি তৈরি করে বিদ্যালয়ের জমি দখল করেছেন। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে গড়ে ওঠা বস্তিটি সিরামিকস বাজার বস্তি নামে পরিচিত। সেখানে ঘর রয়েছে ৩০০টির বেশি। বস্তির নিয়ন্ত্রক কেব্ল টেলিভিশনের সংযোগদাতা বা ডিশ ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন ওরফে সুমন। বস্তিতে তাঁর একটি কার্যালয়ও রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বস্তির প্রতিটি ঘর থেকে প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ভাড়া ওঠানো হয়। মাসে পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ লাখ টাকার মতো। বস্তির নিয়ন্ত্রক বলে পরিচিত মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বস্তিটি উচ্ছেদের বিষয়ে কখনোই আলোচনা হয়নি। বস্তি সরিয়ে দিতে তিনি বিদ্যালয়কে সহযোগিতা করবেন। তিনি দাবি করেন, বস্তিতে তাঁর কোনো কার্যালয় নেই। একটি দোকান রয়েছে। সেটি ভাড়ায় চালান।
বিদ্যালয়ের জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদের উদ্যোগ যে একাধিকবার নেওয়া হয়েছিল, তা জানান বিদ্যালয়ের জমিদাতা খলিলুর রহমানের ছেলে ফারুক আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রভাবশালীদের কারণেই বস্তি উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যালয় নেই, আছে মুরগির দোকান
সরকারি নথিপত্র বলছে, পুরান ঢাকার ওয়ারীর বনগ্রাম সড়কের ২২ নম্বর হোল্ডিংয়ে ইসলামিয়া ইউপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তবে সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো বিদ্যালয় নেই। ছোট একটি ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সে জায়গায় বসানো হয়েছে মুরগি ও মাছের দোকান। বিদ্যালয়টির জমির অন্য অংশে ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর ছয়েক আগেও তিনতলা ভবনে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম ছিল। ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের জমিতে নতুন ভবন করতে পৌনে দুই কোটি টাকা বরাদ্দও দিয়েছিল সরকার। তবে দখলদারের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এখন বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলে ওয়ারীর যোগীনগর মোড়ের এম এ আলীম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম তলার দুটি কক্ষে।
ইসলামিয়া ইউপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন প্রথম আলোকে জানান, স্থানীয় কয়েকজন বিদ্যালয়টির জমি দখল করেছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী কারও কারও এতে ইন্ধন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রায় ১১ বছর ধরে এই বিদ্যালয় নিয়ে যুদ্ধ করছি। আদালতের বারান্দায় দিনের পর দিন দৌড়াচ্ছি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই যুদ্ধ কখনো শেষ হবে কি না, জানি না।’
শিক্ষকেরা জানান, ইসলামিয়া ইউপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসময় অনেক শিক্ষার্থী ছিল। এখন আছে ৫০ জন।
ইসলামিয়া ইউপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এম এ আলীম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বিদ্যালয়ের জমিও বেদখল। বিদ্যালয়টির জমির পরিমাণ ১১ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ শতাংশে একটি পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরীন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, জমি ১৯৮৭ সাল থেকে বেদখল। স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজ উদ্দিন খান ও তাঁর ভাগনে শাহ আলম জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের জমি বেদখল হওয়ায় মামলা করা হয়েছিল। মামলা চলা অবস্থাতেই ১৯৯৩ সালে সেখানে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০০১ সালে মামলার রায় বিদ্যালয়ের পক্ষে যায়। তবু জমি দখলমুক্ত করা যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন খান ও শাহ আলমের বক্তব্য জানতে তাঁদের খোঁজ করা হয়। তবে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের মাঠে ঘর
যাত্রাবাড়ীর ব্রাহ্মণচিরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৮ সালেও ৩২ শতাংশ জমির ওপর একটি মাঠ ছিল। সেখানে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করত। সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে যাওয়ার পর শিক্ষকেরা জানান, বিদ্যালয়ের জমিদাতা তমিজ উদ্দিনের বংশধরেরা মাঠ দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন। তাই ৭০০ শিক্ষার্থীর খেলাধুলার জন্য কোনো জায়গা নেই।
মাঠের জমিতে ঘর করা ব্যক্তিদের নাজির হোসেন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁর দাদা তমিজ উদ্দিন বিদ্যালয়কে ৮ শতাংশ জমি দান করেছিলেন। মাঠের জমি দান করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মামলা করেছেন। মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বিদ্যালয়টি ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। বহু বছর পর তমিজ উদ্দিনের বংশধরেরা ভিন্ন দাবি করেছেন। তাঁরা আদালতে মামলা নিষ্পত্তির আগেই জমি দখল করে স্থাপনা করেছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই যখন দখলদার
ঢাকায় কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাওয়া গেছে, যেগুলোর স্থাপনায় অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলে। তেমন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো বংশালের এফ কে এম বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০। বিদ্যালয়টির একটি চারতলা ভবন রয়েছে। তবে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় চলে বংশাল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কার্যক্রম, যেটি একটি বেসরকারি বিদ্যালয়।
শিক্ষকেরা জানান, গত শতাব্দীর আশির দশকে ওই এলাকায় উচ্চবিদ্যালয় না থাকায় এফ কে এম বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থাপনায় বংশাল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় চালু হয়েছিল।
এফ কে এম বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা শুধু নিচতলার ছয়টি কক্ষ ব্যবহার করতে পারছেন। তিনটি শ্রেণিকক্ষ, একটি মুক্তিযুদ্ধ কর্নার ও একটি অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একটিতে সব সময় পয়োবর্জ্যের পানি জমে থাকে। ফলে ব্যবহারের যোগ্য নয়। তিনি বলেন, বেশি বৃষ্টি হলে পানি জমে যাওয়ায় কোনো কক্ষই ব্যবহারের যোগ্য থাকে না। নানা সমস্যা থাকায় তাঁদের বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা সন্তানদের ভর্তি করাতে চান না।
মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনের ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে একাংশে রয়েছে ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছয়তলা ভবন। পুরান ঢাকার সুরিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের একটি অংশে পাঠদান চলে রমনা রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়ের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি প্রশাসনিক কক্ষে ছুটির দিনে ও রাতের বেলা ধানমন্ডি ল কলেজের কার্যক্রম চলে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ফাহিমা সুলতানা গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর থেকেই এই বিদ্যালয়ে ল কলেজের কার্যক্রম চলছে। তাদের সরাতে নানা চেষ্টা হয়েছে। তবে সম্ভব হয়নি।
একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে কীভাবে কার্যক্রম চলছে তা জানতে যোগাযোগ করা হয় ধানমন্ডি ল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁরা ভাড়া দিয়ে কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। যদিও বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন।
আরও দখল
মোহাম্মদপুরের শাহীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৬ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ জমি দখল করে রেখেছে অবাঙালিরা। মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের আবদুল মান্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৬ শতাংশের মধ্যে ২১ শতাংশ জমি অবাঙালিদের দখলে। কামরাঙ্গীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষকের দাবি, বিদ্যালয়টির ৩৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩০ শতাংশই বেদখল। মিরপুরের চম্পা পারুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
ডেমরার ধার্মিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি পুকুরের একটি বেদখল। পুকুরটির আয়তন দুই বিঘা। পুরান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাংশ জমি, মিরপুরের দরগাহ শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির একাংশ বেদখল বলে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
আটটি বিদ্যালয়ের মাঠে ঢাকা ওয়াসা পানির পাম্প বসিয়েছে। পুরান ঢাকার ওয়ারি মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আগারগাঁওয়ের তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির কিছু অংশে ক্লাবঘর নির্মাণ করেছে স্থানীয়রা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ও স্থাপনা দখলের ঘটনা খুবই হতাশাজনক। দখলের এমন চিত্র প্রমাণ করে ঢাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে সরকারের কোনো ভাবনা নেই।
জমি উদ্ধারের বিরল ঘটনা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি যে উদ্ধার করা যায়, তার নজির গড়েছে মিরপুরের গুদারাঘাটের কাজীফরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষকেরা জানান, বিদ্যালয়টির ৮৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৬৯ শতাংশ দীর্ঘদিন ধরে বেদখল ছিল। গত শতাব্দীর আশির দশকে সেখানে গড়ে উঠেছিল বিশাল বস্তি। পাশাপাশি দোতলা, তিনতলা ও চারতলা ভবনও হয়েছিল। মাঠ বলতে কিছু ছিল না।
বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে বেদখল জমির ১০ শতাংশ বাদে বাকিটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার করা জমিতে তৈরি করা হয়েছে বড় মাঠ।
কাজীফরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা বস্তি উচ্ছেদ করা সহজ ছিল না। এই জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব, এটা কেউ কল্পনা করেনি। কারণ, বস্তির নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রভাবশালীদের কাছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করে বিদ্যালয়ের জমি ২০১৩ সালে দখলমুক্ত করা হয়। ১০ শতাংশ জমি নিয়ে এখনো মামলা চলছে।