গণতন্ত্র সম্মেলনে যে কারণে এবার আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে বলেছেন, গণতন্ত্রের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় আয়োজনে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশকে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার জন্য কর্মপরিকল্পনা দিতে বলা হয়েছিল। যেসব দেশ এ কর্মপরিকল্পনা দেয়নি, তাদের এ বছরের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের উত্তরে ডেরেক শোলে এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশকে এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন, জানতে চাইলে ডেরেক শোলে বলেন, ‘গতবার যেসব দেশকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ও যাদের আমন্ত্রণ জানাইনি, তাদের পরের বছর গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য কর্মপরিকল্পনা দিতে বলা হয়েছিল। এটি সম্মেলনে অংশগ্রহণের অন্যতম শর্ত ছিল।
যেসব দেশ প্রথম অংশ নিয়েছিল, তাদের পাশাপাশি গতবার আমন্ত্রণ পায়নি, এমন বেশ কয়েকটি দেশ কর্মপরিকল্পনা দেয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আয়োজিত গণতন্ত্রের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন আগামী ২৯ ও ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। কর্তৃত্ববাদী সরকারকে প্রতিহত করা, দুর্নীতি দমন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা—এই তিন লক্ষ্যে অঙ্গীকার পূরণের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ সম্মেলনে আলোচনা হবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো গণতন্ত্রের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছিল। ওই সম্মেলনে ১১০টি দেশের প্রায় সাড়ে সাত শ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। সেই সম্মেলনেও বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি।
এবারের সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ খুব একটা চিন্তিত নয়। গণতন্ত্র সম্মেলন তো তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনেকগুলোই করছে। আমন্ত্রণ দিলেই গণতন্ত্র যে ভালো হয়ে যাবে, তা নয়। বিভিন্ন দেশকে কোন বিবেচনায় আমন্ত্রণ দেওয়া হয়, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।
এবারের গণতন্ত্র সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সহ–আয়োজক হিসেবে যুক্ত হয়েছে কোস্টারিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস ও জাম্বিয়া। গতবারের মতো এবারের সম্মেলনও ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। এবার সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ—ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপসহ বিশ্বের ১১০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।