সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার কোনো হিসাব নেই
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাঁটাপথ, খাবারের দোকানসহ নানান স্থাপনা তৈরির সময় কোনো গাছ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, তা কেটে ফেলা হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এসব উন্নয়নকাজের জন্য কত গাছ কাটা হয়েছে বা কাটতে হবে, সে হিসাব নেই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে। ১৯৯৮ সালে প্রকল্পটির শুরু থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে কত গাছ কাটা হলো, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি।
তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, পরিকল্পিত সবুজায়নের অংশ হিসেবে ‘অপ্রয়োজনীয়’ গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ কাটা হলেও নতুন করে ফুল গাছ লাগানো হবে। সারা বছরই ফুটবে নানান ফুল। ফুল গাছের পরিচর্যায় মালি থাকবে। ঘাসে পা না দিয়েই মানুষ যাতে হাঁটতে পারে, তাই হাঁটাপথের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। লোকজনের বিশ্রামের জন্য বিভিন্ন নকশার বেঞ্চ তৈরি করা হবে। এতে কিছু গাছ কাটা যেতেই পারে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একটি ঐতিহাসিক সম্পত্তি, সাংবিধানিকভাবে এটি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে যতটা সম্ভব অক্ষত রাখতে হবে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জনসমাগম হলে মানুষ যাতে উন্নত মানের খাবার পায়, তাই উদ্যানে সাতটি ফুড কিয়স্ক তৈরি করা হচ্ছে। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধীসহ সবার প্রয়োজন অনুযায়ী শৌচাগার, বৃষ্টি হলে শেডের নিচে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা এবং টিকিট কাউন্টার হচ্ছে একই ছাদের নিচে।
পরিবেশবিদ, নগরবিদ, প্রকৃতিপ্রেমীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। গাছ কেটে খাবারের দোকান বা অন্যান্য স্থাপনা তৈরির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে যার মতো করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করছে। নগরবিদদের দেওয়া হিসাব বলছে, প্রতিটি বড় শহরে ২০ শতাংশ সবুজ স্থান থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কাগজে-কলমে নতুন ঢাকায় আছে ১২ আর পুরান ঢাকায় ৫ শতাংশ। বাস্তবে তার পরিমাণ আরও কম।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগে ছিল রেসকোর্স ময়দান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই রেসকোর্স ময়দানেই লাখো মানুষের মহাসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল এখানেই। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সুহৃদ ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সফরকালে এই রেসকোর্স ময়দানেই ভাষণ দিয়েছিলেন।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একটি ঐতিহাসিক সম্পত্তি, সাংবিধানিকভাবে এটি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে যতটা সম্ভব অক্ষত রাখতে হবে। স্থাপনা হতেই পারে, তবে তা চারদিকে ছড়িয়ে করতে হবে। ঢাকা শহরের পার্ক ও গাছপালা রক্ষায় বিভিন্ন সময় আমাদের মতামত দিয়েছি। বেশির ভাগ সময়ই মতামতের ধার ধারে না।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পটির উদ্যোগী মন্ত্রণালয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটির তৃতীয় পর্যায়ের নকশা প্রণয়নকারী সংস্থা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তর। আর প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
২০১৮ সাল থেকে প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিং ৫০০টি, দৃষ্টিনন্দন জলাধারসহ হাঁটাপথ, আন্ডারপাস, মসজিদ, অত্যাধুনিক রাইডসহ শিশুপার্কের আধুনিকায়ন, খাবারের দোকান, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য এবং যেখানে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছিল, সেখানেও একটি ভাস্কর্য তৈরি, ইন্দিরা মঞ্চ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পের এ পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৪৭ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
‘কিছু’ গাছ কাটা হয়েছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে খরচ হয় ২৬২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০১৮ সাল থেকে প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজে খরচ হবে আরও ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত ২৩ বছর ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেড় শ ফুট উচ্চতার কাচের তৈরি স্বাধীনতাস্তম্ভ, উদ্যানের উত্তর প্রান্তের শিখা চিরন্তন, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জাদুঘর, দেয়ালে ম্যুরাল স্থাপন, বাংলা একাডেমির সামনের অংশে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ, নতুন ফটক, উদ্যানের চারপাশে স্টিলের বেড়া নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ হয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ে। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সময় উদ্যানের গাছ কাটতে হয়েছে। এখন আবার চলছে গাছ কাটা।
গত মঙ্গল ও বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, খাবারের দোকানের জন্য কয়েকটি স্থাপনা তৈরির কাজ চলছে। হাঁটাপথের কিছু অংশে ইট বিছানো হয়েছে। কিছু অংশের মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। আর এই হাঁটাপথের নকশার মধ্যে যে গাছগুলো পড়েছে তার বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছে। উদ্যানের বেশ কিছু গাছে ক্রসচিহ্ন দেওয়া। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা, আর আন্দোলনকারীরা বলছেন, এগুলো কাটা হবে বলেই চিহ্ন দেওয়া। ক্রসচিহ্নের হিসাব ধরলে শতাধিক গাছে চিহ্ন দেওয়া। পুরো উদ্যানেই ইট, পাথর, লোহা-লক্কড়ে ঠাসা।
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ’ শীর্ষক তৃতীয় পর্যায়ের মহাপরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের উন্নয়নকাজের স্থাপত্য নকশা করেছে স্থাপত্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি এবং প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের মাস্টার প্ল্যানের মূল আকল্পক আসিফুর রহমান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের এ পর্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কত গাছ কাটতে হবে, তার হিসাব তাঁর কাছে নেই। হাঁটাপথ নির্মাণ করতে গিয়ে বা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কোনো গাছ কাটতে হলে তা কাটা হচ্ছে। তবে বড় গাছ যাতে কাটা না হয়, তার নির্দেশ দেওয়া আছে।
গাছ কাটাসংক্রান্ত হিসাব কোথায় পাওয়া যাবে, জানতে চাইলে স্থপতি আসিফুর রহমান ভূঁইয়া জানালেন, এ তথ্য থাকবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছে। তবে এ অধিদপ্তরের জনসংখ্যা প্রকল্প কোষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জামিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এ প্রকল্পের অধীনে গাছ কাটাসংক্রান্ত তথ্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। কোনো তথ্য জানতে হলে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকেই জানতে হবে।
৫ মে বুধবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে মন্ত্রণালয় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘কিছু গাছ’ কাটা হলেও প্রায় এক হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাছ কাটা বিষয়ে আমরা লিখে পাঠাইছি, প্লিজ তাই লিখেন। কতগুলো গাছ কাটা হলো, সে হিসাব আমাদের কাছে নাই। গুইনা আসতে বলেন। আপনাদের কথা শুনলে কোনো কাজই করা যাবে না। এখানে কোনো দিনই উদ্যান ছিল না। রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়দৌড় হতো। জনসভা হইছে। মিথ্যাচার করে বলা হচ্ছে বন ছিল। আমরাই হাজার হাজার গাছ লাগাইছি। আরও লাগাবো।’ মন্ত্রী বললেন, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পছন্দ করেন না, তাঁরাই বিভিন্ন কথা বলে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা যা বললেন
সরেজমিনে দেখা গেল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন জায়গায় কর্তৃপক্ষের নাম দিয়ে নোটিশ টানানো হয়েছে। তাতে বড় একটি গাছের ছবি এঁকে লেখা হয়েছে—ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উদ্যানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পিত সবুজায়ন ও পরিবেশ উন্নয়নের কাজ চলমান। সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
গত ২৩ বছর ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেড় শ ফুট উচ্চতার কাচের তৈরি স্বাধীনতাস্তম্ভ, উদ্যানের উত্তর প্রান্তের শিখা চিরন্তন, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জাদুঘর, দেয়ালে ম্যুরাল স্থাপন, বাংলা একাডেমির সামনের অংশে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ, নতুন ফটক, উদ্যানের চারপাশে স্টিলের বেড়া নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ হয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ে।
গাছ কাটা প্রসঙ্গে স্থাপত্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি আসিফুর রহমান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বললেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, এখানে যা হচ্ছে তা সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নকশার ভিত্তিতেই হচ্ছে। অনুমোদিত নকশার বাইরে কোনো কাজ হচ্ছে না। সবুজ ঘাসে পা না দিয়ে মানুষ যাতে হাঁটতে পারে, তাই হাঁটাপথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এটা করতে গিয়ে যে গাছগুলো রাখা জরুরি, আর যেগুলো অপ্রয়োজনীয়, তা কাটা হচ্ছে। উদ্যানের গাছগুলো কোনো নিয়মনীতি মেনে লাগানো হয়নি। নতুনভাবে গাছ লাগানোর পরিকল্পনাও আছে।’
স্থাপত্য অধিদপ্তরের মতে, পরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্যানে এমন গাছ থাকবে, যাতে সব সময় ফুলের দেখা পাওয়া যাবে। মালি থাকবে। এতে সবুজ আরও বাড়বে। লাইট বা বাতি থাকবে, রাতের বেলাতেও মানুষ এখানে আসবে। আর মানুষ এলে শৌচাগার, বৃষ্টির সময় আশ্রয় নেওয়ার জায়গাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তো দিতে হবে।
গাছ কাটা বিষয়ে আমরা লিখে পাঠাইছি, প্লিজ তাই লিখেন। কতগুলো গাছ কাটা হলো, সে হিসাব আমাদের কাছে নাই। গুইনা আসতে বলেন। আপনাদের কথা শুনলে কোনো কাজই করা যাবে না। এখানে কোনো দিনই উদ্যান ছিল না।
তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাঠ ও পার্কের উন্নয়নে নেওয়া ‘জল-সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্কের আধুনিকায়নের প্রধান স্থপতি রফিক আজম প্রথম আলোকে বলেন, যেকোনো স্থাপনার জন্য নকশাবিদকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে অঙ্ক করতে হয়। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হয়। স্থাপনা তৈরির জন্য গাছ কাটতে হলে তার যৌক্তিক কারণ স্পষ্ট করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটতে হলেও তার ব্যাখ্যা দিতে হবে বা থাকতে হবে। আর কতগুলো গাছ কাটা পড়বে, তা তো জানাতেই হবে।
নগরবিদ ইকবাল হাবিব অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের মাস্টারপ্ল্যান বা মহাপরিকল্পনাটির ত্রিমাত্রিক উপস্থাপনায় অর্থাৎ অনুমোদিত পরিকল্পনাকে ডিটেইল করতে গিয়ে খাবারের দোকান, হাঁটাপথসহ বিভিন্ন পাকা অবকাঠামো তৈরির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুরোনো গাছ কেটে ফেলার অজুহাত দেখানো হচ্ছে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এটি করার আগে সমীক্ষা, প্রাক্সমীক্ষা করে তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। জনবান্ধব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। শরীরে করোনা যেভাবে ফুসফুসকে আক্রান্ত করছে, রাতের আঁধারে, লকডাউনের মধ্যে গাছ কেটে একইভাবে নগরীর ফুসফুসকে আক্রান্ত করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে ইকবাল হাবিব বলেন, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।