ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের মেয়রের কাছে যেতে পরামর্শ নুরুলের
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের ঐক্যবদ্ধভাবে মেয়রের কাছে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক। তিনি বলেন, রিকশা রাস্তায় চলবে না—এটা পুলিশ ঠিক করে দিতে পারে না। ব্যাটারিচালিত রিকশা বৈধ কি অবৈধ, তা নির্ণয় করবে সিটি করপোরেশন বা অন্য সরকারি সংস্থা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধ ঘোষণা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃক উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে রিকশাচালকদের মানববন্ধন হয়। বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে সংহতি জানিয়ে এ কথা বলেন নুরুল।
নুরুল বলেন, রিকশা আটক করে রেকার দেওয়া পুলিশ করতে পারে না। রিকশা উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেন নুরুল। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ও বাস্তবতা বলে, রাজনৈতিক দলের ধান্দাবাজ নেতারা এবং প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে শ্রমিকদের রক্ত চুষে এই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।
তিনি রিকশাশ্রমিকদের নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবিদাওয়া মেয়রের কাছে উত্থাপনের পরামর্শ দেন। তিনি রিকশাচালকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা একা যাবেন না। ঐক্যবদ্ধভাবে যাবেন। সেখান থেকে তিন–চারজন মিলে মেয়রের সঙ্গে দেখা করবেন। একা গেলে আপনাদের হামলা ও মামলা দিতে পারে।’
মানববন্ধনে তিন দফা দাবি জানান রিকশাচালকনেতারা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাটারিচালিত সব রিকশা সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিবন্ধিত করা, সব সিটি করপোরেশন এলাকার প্রধান সড়কে রিকশার জন্য দুই পাশে চার ফুট আলাদা লেন চালু, প্রশাসন ও রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের সব হয়রানি বাণিজ্য ও প্রভাব স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।
পরিষদের সদস্যসচিব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলে। ব্যাটারিচালিত রিকশায় দু–একটা ধাক্কা লাগতেই পারে। সমস্যা কোথায়?’