ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমকে নিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে রিট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে নিয়োগ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে রিট হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক বাসিন্দা আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটটি শুনানির জন্য দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওয়াসা বোর্ডের ৯৭তম বোর্ড সভা আহ্বান করা হয়, যা ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এর আলোচ্য ছিল, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে তিন বছরের জন্য নিয়োগের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ।

ওই বিষয় নিয়ে ‘ওয়াসার এমডি থাকছেন তাকসিমই’ ও ‘ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিমের মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়ছে’ শিরোনামে ১৯ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে নিয়োগ প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা খন্দকার মঞ্জুর মোরশেদ রিটটি করেন, যিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী।

ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানকে নিয়োগের অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ১৯ সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নিয়োগের প্রস্তাবসংক্রান্ত বোর্ডের সিদ্ধান্তের কার্যক্রমও স্থগিত হয়েছে রিটে। স্থানীয় সরকার সচিব, অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ শাখা), ঢাকা ওয়াসা ও এর সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে যেকোনো সরকারি পদে সমান সুযোগ থাকতে হবে। কিন্তু এখানে সমান সুযোগ নিশ্চিত হচ্ছে না। একজনকে বারবার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ওয়াসার আইনে অনুসারে কোনো সভা আহ্বান করতে হলে তা চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান করবেন। অথচ ১১ সেপ্টেম্বর ওয়াসার চেয়ারম্যান মারা গেছেন। এমনকি এখানে কোনো ভাইস চেয়ারম্যানও নেই। তাই ওই বোর্ড সভা আহ্বান করা আইনসম্মত হয়নি।

ওয়াসার ২০১০ সালের চাকরিবিধি অনুসারে সরকার সরাসরি এমডির নিয়োগ দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া ও যাচাই-বাছাই কমিটি বাধ্যতামূলক, যা এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।