জাহিদুল হত্যা: আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুককে দল থেকে বহিষ্কার
আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ওমর ফারুককে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ওমর ফারুকসহ (৫২) চারজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র্যাব। আসামিদের চারজনই ২০১৩ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবলীগ নেতা মিল্কীর অনুসারী বলছে র্যাব। র্যাব বলছে, জাহিদুলকে গুলির পর আসামিরা পরস্পরকে মেসেজ দেন ‘ইট ইজ ডান’।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন।
বহিষ্কারাদেশে সই করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
এতে বলা হয়, ‘গত ২৪ মার্চ রাতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনাকে (ওমর ফারুক) গ্রেপ্তার করেছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর ব্যাপক প্রচারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর দায়ভার কোনোভাবেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বহন করতে বাধ্য নয়। দলের নীতি ও শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় সংগঠনের গণতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক আপনাকে (ওমর ফারুক) বহিষ্কার করা হলো।’
গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিতে খুন হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু (৫৮)। সে সময় সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাহিদুলকে বহন করা মাইক্রোবাসের চালকও।