চোরাই মালামাল ফেরতের কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন তাঁরা

হাতকড়া।
প্রতীকী ছবি

প্রলোভন দেখিয়ে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করে কৌশলে বাসা-বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন জিনিস চুরি করাতেন চোর চক্রের মূল হোতা আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে নোমান (৪২)। পরে মালিকের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করে মালামাল ফেরত দেওয়ার কথা বলে টাকা চাইতেন। মুঠোফোনে টাকা নেওয়ার পর আর মালামাল ফেরত দিতেন না। বুধবার কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মামুন ও তাঁর সহযোগী মাসুদ আলী ওরফে হেলালকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই বলছে, মামুন ও হেলালের কাছ থেকে একটি চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা তানিম হোসেনের বাসার তালা ভেঙে ল্যাপটপ চুরি হয়। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বাসা-বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মুঠোফোনসহ মালামাল চুরির চক্রের সন্ধান পায় পিবিআই। তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মামুন ও তাঁর সহযোগী মাসুদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই কর্মকর্তাদের কাছে দুজন প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেছেন, প্রকৃত মালিকের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ ও পরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মালামাল ফেরত দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলেও মালামাল ফেরত দিতেন না।

পরে এসব মালামাল হাতিরপুল মোতালিব প্লাজা ও স্টেডিয়াম মার্কেটে বিক্রি করে দিতেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চোর চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।