গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য চালু বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চিকিৎসক নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতোই গণমাধ্যমে নিত্যদিনের খবর প্রচারে কাজ করছেন সংবাদকর্মীরা। ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন তিনজন গণমাধ্যমকর্মী। এবার এই গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য চালু হলো ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
অলাভজনক সামাজিক সংগঠন 'পাথওয়ে' গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য এই ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার ওয়াসা ভবনের সামনে শান্তা জাহানের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘পাথওয়ে’–এর উপদেষ্টা কর্নেল মীর মোতাহার হাসান (অব.) এবং ‘পাথওয়ে’–এর নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন, পরিচালক ইমারত হোসেন, পাথওয়ের সহকর্মীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা। অ্যাম্বুলেন্সগুলো সেবা প্রদানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন বলেন, জনগণের কাছে প্রতিদিনের সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংবাদকর্মীদের বাইরে অবস্থান করতে হয়। প্রতি মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্য দিয়ে কাজ করায় তাঁদের অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই দুর্যোগের সময়ে সামাজিক সংগঠন পাথওয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের হাসপাতালে নেওয়া–আনার জন্য ২৪ ঘণ্টা ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সেবা প্রদান করছে।
সামাজিক এ সংগঠনটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকারের ব্যবস্থা করে ইতিমধ্যে সবার কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। এ ছাড়া মানবিকতার তাগিদে পবিত্র মাহে রমজানে ট্রাফিক পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি সামাজিক সংগঠন পাথওয়ে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিজস্ব গাড়িতে করে ট্রাফিক বক্সে প্রতিদিন ছয় শতাধিক ইফতার পৌঁছে দেন সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।
এ ছাড়া পাথওয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ‘হ্যালো ডক্টর’ নামে টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছে এবং লকডাউনে কর্মহীন মানুষের পাশাপাশি পথচারী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতিদিন বিনা মূল্যে ত্রাণসহায়তা দিচ্ছে।