আনিসুল হত্যা মামলায় জামিন পেলেন চিকিৎসক মামুন
পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মণ্ডল। তিনি বলেন, আজ চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুনের আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনকে দুদিন ও আদাবরের মাইন্ড এইড অ্যান্ড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড অ্যাডিকশনের অন্যতম মালিক ফাতেমা আক্তারকে চার দিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার ঢাকার সিএমএম আদালতে নেওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। ১৫ নভেম্বর ফাতেমা আক্তারের চার দিন এবং ১৭ নভেম্বর আবদুল্লাহ আল মামুনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মানসিক সমস্যায় ভুগে আদাবরে মাইন্ড এইড অ্যান্ড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড অ্যাডিকশন নামের বেসরকারি হাসপাতালে ৯ নভেম্বর ভর্তি হন পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম।
তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পরপর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে মারধর করে হত্যা করেন। মারধরের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে মাইন্ড এইড হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বলেছেন, আনিসুল করিমকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। মাইন্ড এইডে মারধরে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল অচেতন হয়ে পড়লে মামুন সেই হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং আনিসুলকে অ্যাম্বুলেন্সে করে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যান।
আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর দুদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয় মাইন্ড এইডের অন্যতম মালিক ফাতেমা আক্তারকে।
৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান আনিসুল করিম। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিকের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন তিনি।