ঈদের পর কারওয়ান বাজার আড়ত ভবন ভেঙে ফেলা হবে: মেয়র আতিক
কারওয়ান বাজার থেকে ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের পরে কারওয়ান বাজারের অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ আড়ত ভবন ভেঙে ফেলা হবে। প্রাথমিকভাবে সেখান থেকে ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে গাবতলী কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর গাবতলীতে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। কারওয়ান বাজার থেকে গাবতলী এলাকায় থাকা আমিনবাজার কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা ঈদের পরে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রাখব না। মেয়র বলেই দিয়েছেন। আমরা পর্যায়ক্রমে এগুলোকে ভেঙে ফেলব। এগুলোতে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করব। আমরা আর কোনো মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না।’
এর আগে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারওয়ান বাজারের সবগুলো রাস্তা আপনারা দখল করে আছেন। কারওয়ান বাজারের পার্ক, মাঠ দখল করে বাজার বসিয়েছেন। তাই সবার এই অপশনটা (আমিনবাজারের স্থানান্তর) নেওয়া দরকার। কারওয়ান বাজারের মৎস্য বাজার, পাইকারি বাজার সব ধীরে ধীরে সরে যাবে। কারওয়ান বাজার আপনাদের ছাড়তে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রথম অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫-এর যে কার্যালয়ের (আড়ত ভবন) এই ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। অনেক মানুষের জীবনের হুমকির সম্মুখীন হয়ে গেছে। এই ভবনের নিচে বাঁশ-কাঠ দিয়ে ঠেক দেওয়া হয়েছে। ঈদের পর (ঈদুল ফিতর) এই ভবন ভাঙার কাজ নির্দেশ দিয়েছি। এই ভবনের নিচে ১৭৬টি দোকান আছে। সেই দোকানগুলোকে আমরা এখানে (আমিনবাজার কাঁচাবাজার) স্থানান্তর করব।’
মেয়র আরও বলেন, ‘ঢাকা এক দিনে হয়নি, মিরপুর, উত্তরা, শান্তিনগর সবই ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু-সচল ঢাকা চাই। ঢাকার কেন্দ্রতে থাকা কারওয়ান বাজার পরিবর্তন করতে চাই। সেখানে কোনো ডিসিপ্লিন নেই। পর্যায়ক্রমে সব ব্যবসায়ীকে সেখান থেকে সরতে হবে, এটাই বাস্তবতা। একটি শহরের মাঝখানে কোনো পাইকারি বাজার বসতে পারে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ব্যবসায়ীরা যেদিন আসবেন, সেদিন থেকেই ব্যবসা করতে পারবেন। হয়তো যেদিন আসবেন, সেদিন ব্যবসা জমবে না। তবে ওই ভবন (আড়ত ভবন) যেহেতু ভেঙে ফেলব, সেই ভবনে যাঁরা আছেন, সেই ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে এখানে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।