মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে

আইআইএমএমের প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান
ছবি: আইআইএমএমের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আর্জেন্টিনার সর্বজনীন বিচারব্যবস্থা (ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন) ব্যবহার করা হয়েছিল। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। বৃহস্পতিবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পাবলিক বক্তৃতায় নিকোলাস কৌমজিয়ান এই মত দেন। তিনি জাতিসংঘের ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমারের (আইআইএমএম) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার ‘মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ: আইআইএমএমের চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে পাবলিক বক্তৃতার আয়োজন করে সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে)। পাবলিক বক্তৃতা করেন নিকোলাস কৌমজিয়ান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

বক্তৃতায় তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেন, আইআইএমএমের কাজের পরিধি মিয়ানমারে শুধু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসংক্রান্ত বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আর্জেন্টিনায় সর্বজনীন বিচারব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়েছিল। মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা কার্যকর হতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি–সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে আইআইএমএমের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আমাদের একযোগে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।’

আসন্ন একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, এই সম্মেলন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ ও দৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভিড ডাউল্যান্ড। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সিপিজের উপনির্বাহী পরিচালক শাহরিয়ার সাদাত। সমাপনী বক্তব্য দেন সিপিজের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্মকর্তা, দেশি–বিদেশি এনজিও কর্মী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।