উদীচীর অনুষ্ঠান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: ডিএমপি
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলেছে, বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পগোষ্ঠী অনুষ্ঠান করার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
পয়লা বৈশাখ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় ‘সংকোচনের’ প্রতিবাদে গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ প্রসঙ্গে ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করা-সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি বলেছে, সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান আয়োজন এবং অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক। উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে তা কখনো কাম্য নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে। তাই উদীচী নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ডিএমপির নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ডিএমপি বলছে, বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতিযাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে। আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা ও রুচিশীল ব্যক্তি।