ঢাকায় ঝড়-বৃষ্টি চলবে আগামীকালও

রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দিন সড়কে একটি গাড়ির ওপর এভাবেই ভেঙে পড়েছে গাছ। ছবিটি সকাল ১০টায় তোলাছবি: খালেদ সরকার

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে আজ সোমবার সকাল থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এই আবহাওয়া আজ সারা রাত এবং আগামীকাল মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকবে। টানা বৃষ্টিতে এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে মানুষের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে।

ভারী বৃষ্টিতে সড়কে জমেছে পানি। ফলে দোকান খুলতে পারেননি দোকানিরা। সকাল সাড়ে ১০টায়, নিউমার্কেট এলাকায়।
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল রোববার রাতে উপকূলে আঘাত হানার পর সেটি শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেটি এখন স্থল নিম্নচাপ হিসেবে যশোরে অবস্থান করছে। এর একটি অংশ ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলের ওপরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবেই ঢাকায় দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ঢাকায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। চলতি মৌসুমে ঢাকায় এটাই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকায় ভোর থেকে দমকা হাওয়া বইছে। আগামীকাল পর্যন্ত থেমে থেমে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাবে বলে আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে আজ সকাল ছয়টার দিকে, ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার।

সড়ক বিভাজকের একটি গাছ উপড়ে প্রাইভেট কারের ওপর পড়েছে। সকাল ১০টায়, জসীমউদ্‌দীন সড়ক, উত্তরা
ছবি: খালেদ সরকার
আরও পড়ুন

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. শামীম আহসান বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি স্থল নিম্নচাপ হিসেবে আগামীকালের পর সিলেটের ওপর দিয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। এটি ওপরে উঠে এবং এর প্রভাবে উজানে ভারতের আসাম ও মিজোরামে বৃষ্টি ঝরবে।

সড়কে আড়াআড়িভাবে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিকেল সাড়ে চারটা, গ্রিন রোড
ছবি: শুভা জিনিয়া চৌধুরী

ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল রাত আটটার দিকে মোংলার দক্ষিণ–পশ্চিমের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এরপর দেশে সবচেয়ে বেশি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে দিবাগত রাত দেড়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার।

এই ঝড়ের প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। বিকেল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে ১৩৮ মিলিমিটার।