২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হচ্ছে ছাত্রলীগ, অনেকের মাথায় হেলমেট, হাতে হকিস্টিক–লাঠিসোঁটা

সমাবেশে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অনেকের হাতে হকিস্টিক, স্টাম্প, কাঠ, লাঠি, রড ও জিআই পাইপ দেখা যায়ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

বিক্ষোভ সমাবেশ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অনেকে হাতে হকিস্টিক, স্টাম্প, কাঠ, লাঠি, রড ও জিআই পাইপ নিয়ে এসেছেন। অনেকে পরেছেন হেলমেট।

আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় ছাত্রলীগের এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বেলা আড়াইটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সমাবেশ শুরু হয়নি।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে যাচ্ছেন
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদেরও আজ বেলা তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করার কথা রয়েছে।

আজ বেলা সোয়া দুইটা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন।

ছাত্রলীগের সমাবেশে হকিস্টিক নিয়ে এসেছেন একজন
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগেই সাউন্ড সিস্টেম বসিয়েছে ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগ আজকের কর্মসূচিকে বলছে ‘বাঙালির মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ, একাত্তরের ঘৃণিত গণহত্যাকারী রাজাকারদের প্রতি সাফাই, আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতা-কর্মীদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ’।

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। গতকাল বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল থেকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে স্টাম্প, কাঠ, লাঠি
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

রাত নয়টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। হামলা ও সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল হকিস্টিক, লাঠি, রড, জিআই পাইপসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা যায় অন্তত পাঁচজন অস্ত্রধারীকে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ২৯৭ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।