নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর খিলক্ষেত থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ রাজধানীর খিলক্ষেত থানার বড় গরুয়া এলাকার বালুর চর থেকে মোহাম্মদ মেসের আলী (৬৭) নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, তাঁর ঊরুতে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা যাবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, মেসের আলী সপরিবার বড় গরুয়ায় থাকতেন। গত শনিবার তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে, এমনকি সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাচ্ছিলেন না।
পরে গতকাল বিকেলে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে স্বজনেরা জানতে পারেন, বড় গরুয়া এলাকার পাটখেতের পাশে বালুর চরে মেসের আলীর লাশ পড়ে আছে। পরিবারের সদস্যরা জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ ফোন করলে তারা খিলক্ষেত থানার পুলিশকে জানায়। পরে খিলক্ষেত থানার পুলিশ মেসের আলীর লাশ উদ্ধার করে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, মেসের আলীর লাশে কিছুটা পচন ধরেছিল। তাঁর ঊরুতে সামান্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও শরীরের অন্য কোনো স্থানে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এই মৃত্যু নিয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ বা সন্দেহ নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাবে।
ইফতেখায়রুল ইসলাম আরও বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছর তিনেক আগেও মেসের আলী কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে দুই-তিন দিন পর আবার ফিরে এসেছিলেন তিনি। পরিবার বলছে, মেসের আলীর সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।