সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের আধুনিক ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হতে পারে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নির্মাণ খরচও বেড়ে ৫২৪ কোটি টাকা থেকে হয়েছে ৫৬১ কোটি টাকা।
ফলে শাহবাগের গণগ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার জন্য পাঠকদের অপেক্ষা করতে হবে আরও প্রায় দেড় বছর। ২০২২ সাল থেকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশে (আইইবি) ভাড়া নেওয়া ভবনে বর্তমানে সীমিত পরিসরে চলছে গ্রন্থাগারের কার্যক্রম।
সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারকে অনেকেই চেনে পাবলিক লাইব্রেরি নামে। শাহবাগে অবস্থিত বিশাল লাল সিঁড়ির সেই পাবলিক লাইব্রেরির জায়গাটি অনেক দিন ধরেই ঘেরা রয়েছে নির্মাণকাজের জন্য। ফলে এই গ্রন্থাগারনির্ভর পাঠককে যেতে হয় নতুন ঠিকানায়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, গণগ্রন্থাগারের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরুতে দেরি হওয়ার পেছনে আছে আগের ভবন ভাঙতে সময় বেশি লেগে যাওয়া। এ ছাড়া রয়েছে ইলেকট্রিক মেকানিক্যাল বা ইএমের বিভিন্ন পর্বের কাজ শেষ করতে বিলম্ব হওয়া।
জাতীয় গণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক মনীষ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্মাণকাজ চলছে। ইএমের বিষয় যেমন, লিফট, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, তাপনিরোধক যন্ত্র কেনার বিষয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। নির্দিষ্ট দেশ থেকে ক্রয়ের জটিলতার সঙ্গে আছে এলসি খোলা, আমদানির বিভিন্ন জটিলতা। এর কোনোটিই ধরাবাঁধা সময়ের মধ্যে শেষ হবে, এমন নয়।’ তবে অবকাঠামোগত কাজ আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর নির্মাণে কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। গণগ্রন্থাগারের পক্ষ থেকে নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধানে যুক্ত আছেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক খালিদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের ব্যয় ৫২৪ কোটি টাকা থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৫৬১ কোটি টাকা করা হয়েছে।’
এই কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি ২০২২ সালের মে মাসে অনুমোদিত হলেও ভৌত অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয় ওই বছরের সেপ্টেম্বরে। পুরোনো ভবন ভাঙতে এবং স্থানান্তরে সময় লেগেছে।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন ভবন নির্মাণের পর সব সুবিধা একই জায়গায় পাবেন পাঠক। সাধারণ পাঠাগার, বিজ্ঞান পাঠাগার, রেফারেন্স পাঠকক্ষ, শিশু-কিশোর শাখার পাশাপাশি থাকবে কয়েকটি মিলনায়তন।