সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন কারাগারে
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এর আগে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় ইমরান হোসেনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১৩৩ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, ইমরান হোসেনের প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রো সংঘবদ্ধ চোরাচালান ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করেছেন। এ ছাড়া সাদিক অ্যাগ্রো টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড, মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ এনে তা বিক্রি করেছেন। ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে এনেও তা বিক্রি করা হয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু-ছাগলকে বিদেশি ও ‘বংশীয়’গরু-ছাগল বলে প্রচার করে তা উচ্চমূল্যে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন ইমরান।
শুনানির সময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেছেন, ইমরান হোসেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। তিনি চোরাচালান ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে গরু-ছাগল এনে সেটি উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেছেন।
তবে আসামির পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, হয়রানির উদ্দেশ্যে ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের যে অভিযোগ আনা হয়েছে,সেটি ভিত্তিহীন।
গতকালরাজধানী থেকে ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
গত বছর কোরবানির ঈদে ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ‘উচ্চবংশীয়’ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন তৎকালীন এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এরপর আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো খামার।