ঢাকার আফতাবনগরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর নারীর মৃত্যু, স্বামীকে সন্দেহ পরিবারের
রাজধানীর আফতাবনগর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। নারীর পরিবার বলছে, স্বামী ছুরিকাঘাত করে ওই নারীকে হত্যা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান। তাঁর নাম সুবর্ণা আক্তার মিম (২২)। সুবর্ণার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নওডোবা থানার মাতবরকান্দি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সোহরাব খান। তিনি আফতাবনগরে একটি বাসায় থাকতেন।
বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে আফতাবনগর বি–ব্লক থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সুবর্ণাকে নিরাপত্তাকর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয় নাগরিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্বজনেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক ভোর পাঁচটার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির বোন তাহমিনা আক্তার বলেন, সুবর্ণার সঙ্গে শেখ সোহেল নামের এক ব্যক্তির দুই বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের দুজনেরই এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁদের সাত মাসের পুত্রসন্তান রয়েছে।
স্বজনেরা জানান, সোহেল আগের স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকেন। সেখানে তিনি ব্যবসা করেন। সুবর্ণার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর সোহেল তাঁর আগের স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছিলেন। তবে বিয়ের পর সুবর্ণা জানতে পারেন, আগের স্ত্রীর সঙ্গে সোহেলের ছাড়াছাড়ি হয়নি। বিয়ের পরও সুবর্ণা আফতাবনগরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর স্বামী সোহেল বাসায় যাতায়াত করতেন। আগের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
স্বজনেরা আরও বলেন, গত রাতে সোহেল বনানীতে যাওয়ার কথা বলে সুবর্ণাকে নিয়ে বের হন। ভোররাতে মুঠোফোনে তাঁরা জানতে পারেন সুবর্ণা আফতাবনগর নাগরিক হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁদের সন্দেহ স্বামী সোহেল তাঁকে ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন।