কিছু কিছু জায়গায় জলজট হলেও পানি দ্রুত সরে যাচ্ছে: মেয়র আতিকুল
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে দুই দিন ধরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, সে তুলনায় সড়কে এবার পানি জমেনি। কিছু কিছু জায়গায় জলজট হলেও পানি দ্রুত সরে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মেয়র।
উত্তরার বাসা থেকে জাতীয় ঈদগাহে আসার সময় রাস্তায় যে পরিস্থিতি দেখেছেন, তা জানান মেয়র। তিনি বলেন, আগে বৃষ্টি হলে বিভিন্ন স্থানে আটকে যেতে হতো। এবার উত্তরার বাসা থেকে বৃষ্টির মধ্যেও জাতীয় ঈদগাহে আসতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তরা থেকে আসার সময় দেখেছি, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে রাস্তায় সে পরিমাণ জলজট হলেও পানি নেমে গেছে।’
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। বর্জ্য দ্রুত সরাতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেককে পলিথিন দিয়েছি। দয়া করে বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেবেন।’
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে উত্তর সিটির প্রায় ১১ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন জানিয়ে মেয়র এসব শ্রমিককে সাহায্য করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, দ্রুত বর্জ্য অপসারণে করপোরেশনের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। এ জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে। পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে কেউ সহযোগিতা চাইলে নিয়ন্ত্রণকক্ষে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, কোরবানি দিয়ে অনেকেই বাড়ি চলে যাবেন। তিনি বাড়ি যাওয়ার আগে যেসব পাত্রে পানি জমে, তা উল্টে রেখে যেতে বলেন। এটা সবার জন্য সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নগরবাসীকেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন মেয়র।
জাতীয় ঈদগাহে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও নামাজ আদায় করেন। ঈদগাহে প্রধান জামাতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমেদ। ঈদের জামাত শেষে মোনাজাতের পর ঢাকার দুই সিটির মেয়র গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন।
ঈদের জামাত শেষ হওয়ার পরপরই মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে অনেককেই সেলফি তুলতে দেখা যায়। মেয়রের সঙ্গে কোলাকুলি করেন অনেকে। মেয়র তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
ঈদগাহে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপুলসংখ্যক সদস্যের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।