রামপুরায় এক নারীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর রামপুরায় বৃহস্পতিবার নিনা খান (৪৩) নামের এক নারীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিনার স্বামী গিয়াসউদ্দিনকে আটক করেছে।

আটক হওয়া গিয়াসউদ্দিন পেশায় আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মগবাজার শাখার ব্যবস্থাপক। নিহত নিনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিটির একই শাখার একজন কর্মকর্তা ছিলেন।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গিয়াস ও নিনা দম্পতির সন্তান নেই। তাঁরা দুজন রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়া বিসমিল্লাহ টাওয়ারে থাকতেন। ২০১২ সালে তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন।  

বৃহস্পতিবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিনার বোনের মেয়ে লিরা খান বলেন, গিয়াসউদ্দিন দুপুরে তাঁকে ফোন করে বলেন, নিনা রান্না করার সময় চুলার আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি তখন (গিয়াস) বাসায় ছিলেন না। বাসায় ফিরে নিনাকে তিনি দগ্ধ অবস্থায় পান। নিনা এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আছেন বলেও তাঁকে জানানো হয়।  

গিয়াসউদ্দিনের কাছ থেকে এ তথ্য জানার পর লিরা খান জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’–এ ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানান।

রামপুরা থানার এসআই তওফিকা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে নিনার মরদেহ পাই। নিনার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্বামী গিয়াসউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।’

নিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। তওফিকা ইয়াসমিন আরও বলেন, নিনার মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

লিরা খান অভিযোগ করে বলেন, গিয়াসউদ্দিন বিভিন্ন সময়ে নিনাকে নির্যাতন করতেন। তাঁদের ধারণা, মারধরের পর ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও শরীরে আগুন লাগিয়ে নিনাকে হত্যা করেছেন গিয়াসউদ্দিন। এ জন্য নিনার মাথায় রক্তাক্ত জখম ছিল।

নিনা খানের বাড়ি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার বিরিন্দা গ্রামে। তাঁর বাবা সিরাজ উল্লাহ খান। পাঁচ বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে নিনা ছিলেন সবার ছোট।