এনসিটিবি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত গ্রাফিতি রাখা ও না রাখা নিয়ে দুই পক্ষের বিক্ষোভ কর্মসূচির চলাকালে হাতাহাতি ও হামলার ঘটনা ঘটে। ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনের সামনেপ্রথম আলো ফাইল ছবি

রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মো. শাহাদাৎ ফরাজী ওরফে সাকিব (৩৫)।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় এ নিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশ জানায়, শাহাদাৎ ফরাজী এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আল খবির (৩৮) ও মো. আব্বাসকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। আর ২৯ জানুয়ারি এজাহারভুক্ত আরেক আসামি হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ১৫ জানুয়ারি সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠন। অন্যদিকে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একদল মানুষ পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যায়।

আরও পড়ুন

সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে সমবেত মানুষেরা এনসিটিবির সামনে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও হামলা হয়। এতে অনেকে আহত হন। ওই ঘটনায় গত ১৭ জানুয়ারি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ একটি মামলা করে। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন