রাজধানীতে ৩ ঘণ্টায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি
টানা ১২ দিন পর রাজধানীবাসী গতকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টি পেয়েছিল। তা–ও সামান্য। তাতে গরম খানিকটা কমেছিল বটে, কিন্তু খুব বেশি স্বস্তি আসেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য কালই বলেছিল, আজ শুক্রবার বৃষ্টি হবে বেশি করে। হলোও তা–ই। রাজধানীতে আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মে মাসের শুরুটা হয়েছিল প্রচণ্ড গরম দিয়ে। সপ্তাহখানেক ধরে এ গরম চলে। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় লঘুচাপ। এটি ক্রমে নিম্নচাপ থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়।
গত ১৪ মে মোখা টেকনাফ উপকূল পার হয়। এ সময় কক্সবাজার এবং এর কাছাকাছি এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়; যদিও দেশের অন্য প্রান্তে তেমন বৃষ্টি হয়নি। এর দুই দিন পর থেকে অবশ্য রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে বৃষ্টি শুরু হয়। মে মাসের শেষে এসে বৃষ্টি কমে আসে। ২৮ মে থেকে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। কোনো কোনো এলাকায় দেখা দেয় তীব্র তাপপ্রবাহ।
তাপমাত্রা যদি ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাহলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে।
গতকাল থেকেই দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ কমতে শুরু করেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং রাজধানীরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতকাল তার আগের দিনের চেয়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। এর কারণ গতকালের বৃষ্টি। তবে গতকাল থেকে আজ দেশের অনেক বেশি অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতেও কালকের চেয়ে আজকের বৃষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ দুপুর ১২টার পর কমে এসেছে। রাজধানীর আকাশের মেঘমালা পশ্চিম দিকে কিছুটা সরে যেতে শুরু করেছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।