রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সহসম্পাদককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য, চাঁদাবাজ সন্দেহে ছাত্রলীগের ওই নেতাকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, তিনি চাঁদাবাজ নন। এখানে একটি ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে। তাই ছাত্রলীগের ওই নেতাকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক তানভীর আবদুল্লাহকে নিউমার্কেট এলাকা থেকে আটক করেছিল পুলিশ।
তানভীর ঢাকা কলেজের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আটক হওয়ার পর তানভীরকে ‘মুক্ত’ করতে রাতেই নিউমার্কেট থানায় যান ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। থানায় বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা চলার পর তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, নিউমার্কেট এলাকায় রেফাতুল্লাহ নামের এক দন্তচিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বার আছে। তাঁর কাছে কয়েক লাখ টাকা পান আওয়ামী লীগের এক নেতার স্ত্রী। পাওনা টাকা তুলতে তিনি তানভীরকে ওই চিকিৎসকের কাছে পাঠান। টাকা নিয়ে কথাবার্তার একপর্যায়ে ওই চিকিৎসককে মারধর করেন তানভীর। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তানভীরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তানভীরের অনুসারীরা তাঁকে ছাড়াতে মধ্যরাতে নিউমার্কেট থানায় যান। সেখানে পুলিশের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। পরে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে সমঝোতা হলে তানভীরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগের নেতা তানভীরের মুঠোফোনে একাধিক কল ও খুদে বার্তা পাঠানো হয়, কিন্তু তিনি কল ধরেননি। খুদে বার্তারও জবাব দেননি। রেফাতুল্লাহরও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৬ সালে কয়েকজন মিলে গুলশানে একটা ব্যবসা শুরু করেন, কিন্তু ব্যবসাটা দাঁড়ায়নি। পরে অংশীদারেরা যে যাঁর টাকা তুলে নেন, কিন্তু একজনের পাঁচ লাখ টাকা বাকি ছিল। যা দন্তচিকিৎসক রেফাতুল্লাহর দেওয়ার কথা। যাঁর পাওনা তিনি নিজে না গিয়ে অন্য একজনকে (তানভীর) টাকা নিতে রেফাতুল্লাহর কাছে পাঠান। প্রথম পুলিশ ধারণা করেছিল, ওই ব্যক্তি (তানভীর) চাঁদাবাজি করতে এসেছেন। সে জন্য তাঁকে আটক করা হয়। কিন্তু পরে দেখা যায়, বিষয়টা আসলে তা নয়। ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে। দুজনই পরে আলোচনা করে বিষয়টি ফয়সালা করেছেন।
এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ না করায় তানভীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান নিউমার্কেট থানার ওসি আবদুল লতিফ।