সরকারি প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ ফিরে পেতে আজও জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ, ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে আজ মঙ্গলবারও রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু লোকজন জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছেন। তবে তাঁরা আজ সড়ক অবরোধ করেননি।’

আরও পড়ুন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা বলেছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন চলছে।

একই দাবিতে আন্দোলনকারীরা গতকাল সোমবার সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান করছিলেন। গতকাল বেলা একটার দিকে তাঁরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গতকাল বেলা দুইটার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ দফায় দফায় লাঠিপেটা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।

আরও পড়ুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে, শাহবাগ, ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

গতকাল পুলিশের লাঠিপেটার পর আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।

আন্দোলনকারীদের একজন শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ৯টার পর থেকে তাঁরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছেন। গতকাল তাঁদের ওপর পুলিশ চড়াও হয়েছিল। এরপর তাঁরা জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত এখানেই ছিলেন। পরে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। আজ সকাল ৯টা থেকে তাঁরা আবার জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

বেলা পৌনে ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের একজন মাইকে বলেন, আলোচনার জন্য তাঁদের পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়ে গেছে।

আন্দোলনকারীদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। সুপারিশপ্রাপ্ত হননি, এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন