ঈদের চতুর্থ দিনেও জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়
পবিত্র ঈদুল ফিতরের চতুর্থ দিনেও রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা গেছে, চিড়িয়াখানার সামনের সড়কে যানজট। চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকের সামনে অনেক মানুষ। চিড়িয়াখানার ভেতরের সড়কগুলোও লোকজনে পূর্ণ। প্রাণী ও পাখির খাঁচাগুলোর সামনে মানুষের জটলা। কোনো কোনো জায়গায় মানুষের জটলা এড়িয়ে প্রাণী, পাখি দেখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
উত্তরার ময়নারটেক এলাকা থেকে দুই ভাতিজি, এক ভাতিজা ও ছয় নাতি–নাতনি নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন ইসমাইল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। তবে এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাননি। কিন্তু ঈদের পর কোথাও ঘুরতে যাননি। তাই আজ সবাই মিলে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এলেন।
ঈদে চিড়িয়াখানায় আসতে শিশুদের একধরনের বায়না থাকে। বাঘ, ভালুক, হরিণ, সিংহ, গাধা, জিরাফ, জেব্রা, হাতি, পাখি, সাপের প্রতি বিশেষ মনোযোগ থাকে তাদের।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্য, বাঘ, ভালুক, হরিণ, সিংহ, বানর, জলহস্তী, কুমির, সাপ, ইম্পালা, গয়াল, লামা, ময়না, টিয়া, ক্যাঙ্গারু, জিরাফ, জেব্রা, হাতি, ময়ূর, উটপাখি, ইমু পাখি, শঙ্খচিল, কুড়াবাজ, তিলাবাজ, গন্ডার, হায়েনাসহ ১৩৬ প্রজাতির ৩ হাজার ৩৪টি প্রাণী ও পাখি রয়েছে এখানে।
নাসিমা আক্তারের শ্যামলীর বাসায় নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁর দুই বোন ও তাঁদের সন্তানেরা আসেন। আজ সকালে তাঁরা তিন বোন ও তিন বোনের ছয় সন্তান সবাই জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন। পরে দুপুরে বাঘের খাঁচার কাছে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়।
উত্তরার ময়নারটেক এলাকা থেকে দুই ভাতিজি, এক ভাতিজা ও ছয় নাতি-নাতনি নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন ইসমাইল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। তবে এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাননি। কিন্তু ঈদের পর কোথাও ঘুরতে যাননি। তাই আজ সবাই মিলে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এলেন।
নাসিমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঈদে কোথাও ঘুরতে যাননি। আজই প্রথম বের হলেন। চিড়িয়াখানায় এলে বাচ্চারা বেশি আনন্দ পায়। মূলত সে কারণেই এখানে আসা। তাঁদের সঙ্গে আসা শিশু মাহবুবা বলে, পশুপাখি দেখে তার ভালো লেগেছে।
এদিকে চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, আজ এর ভেতরে বেশ ধুলার উৎপাত। অনেকে ধুলা থেকে সুরক্ষায় কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে চলাচল করছেন।
এ প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ধুলা যাতে না হয়, সে কারণে পিচঢালা পথে নিয়মিত তাঁরা পানি দিচ্ছেন। কিন্তু খাঁচাগুলোর সামনে মাটির অংশে পানি দেওয়ার সুযোগ থাকে না, মূলত সেখান থেকেই বেশি ধুলা উঠছে।