রাজধানীতে বিস্ফোরক সামগ্রীসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানাল ডিএমপি
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে মহানগরের ভাষানটেক, শাহআলী ও শাহবাগ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির নেতাসহ অবরোধের সমর্থক ব্যক্তিরা রয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মাহফুজ হোসেন মুনা (২০), মো. ইয়াছিন (১৯), মো. ফরহাদ (১৯), মো. মাহি (১৮), মো. আউলাদ হোসেন (১৮), মো. নাছিম (১৮), মো. আমজাদ আলী হোসেন (১৮), মো. তানভীর হোসেন (১৮), মো. নিজাম উদ্দিন (জসিম), নূর মোহাম্মদ শিকদার (২৩), মোহাম্মদ বখতিয়ার চৌধুরী শাহীন (২৪) ও মো. রুবেল (২০)।
আজ বৃহস্পতিবার মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে ভাষানটেক এলাকা থেকে আটজন, শাহআলী থেকে একজন ও শাহবাগ এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গ্রেপ্তার বাকি ব্যক্তিরাও অবরোধ কর্মসূচির সমর্থক, তবে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, ভাষানটেকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে বিস্ফোরক সামগ্রীসহ জমায়েত হওয়া আটজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, সেসব ব্যবহার করতে পারলে নাশকতার ব্যাপকতা আরও বাড়তে পারত।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার প্রয়াস বেড়েছে। কয়েকটি এলাকায় ককটেল ছুড়ে মেরেছে, তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঢাকার নিরাপত্তার প্রচেষ্টা সুদৃঢ় রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘শহরে যে পরিমাণ যানবাহন, সে পরিমাণ পার্কিংয়ের জায়গা নেই। যদি সিকিউরড (নিরাপদ) জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকত, তাহলে এক জায়গায় আমরা নিরাপত্তা দিয়ে রাখতাম। কিন্তু গাড়িগুলো ছড়ানো–ছিটানো থাকে, আর তারা সুযোগটা নেয়। এরপরও আমরা ১৯ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি, এটা সহজ কাজ নয়।’
বিস্ফোরক সামগ্রী কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নে খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘যারা জোগাড় করতে চায়, তারা ঝুঁকি নিয়েও জোগাড় করে। এরপরও আমরা খোলাবাজারে পেট্রল বিক্রির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। বিভিন্ন কেমিক্যাল, যেগুলো গার্মেন্টসে ব্যবহার করা হয়, দেখা গেছে, তারা সেগুলো কোনোভাবে সংগ্রহ করে বিভিন্ন সামগ্রী মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করে।’