২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ঢাকার মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাটে ২৫ দিন আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণপ্রতীকী ছবি

ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় এক তরুণীকে ২৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ বলছে, মোহাম্মদপুর এলাকার চারতলার একটি ফ্ল্যাটে টানা ২৫ দিন আটক রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। তাঁর ভিডিও ধারণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, মামলায় যে চারজনকে আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সান (২৬), হিমেল (২৭), রকি (২৯) ও সালমা ওরফে ঝুমুর (২৮)। সালমা এক প্রবাসীর স্ত্রী।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহফুজুল হক ভূঞাকে প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

পরে রোববার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয় থেকে এক খুদে বার্তায় আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে জানানো হয়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে খুদে বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামি সালমার চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে গত ৫ মার্চ থেকে ওই তরুণীকে আটকে রাখা হয়েছিল। ধর্ষণেও সালমা সহায়তা করেন।

এজাহারে বলা হয়, বাবা–মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ এবং পরে তাঁরা অন্যত্র বিয়ে করায় ওই তরুণী তাঁর বড় বোনের বাসায় থাকছিলেন। ভগ্নিপতির মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে ওই যুবকের মাধ্যমে সালমার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে বোনের বাসা ছেড়ে তাঁর (সালমা) সঙ্গে ভাড়া ফ্ল্যাটে ওঠেন। পরে সালমার মাধ্যমে সানের সঙ্গে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই বাসায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি সান প্রথম ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সান যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে ৫ মার্চ দুপুরে হিমেল ও রকিকে নিয়ে আসেন। তাঁরা তাঁর (তরুণীর) হাত–পা ও চোখ বেঁধে ফেলেন, মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেন। পরে হিমেল তাঁকে ধর্ষণ করেন।

৩০ মার্চ রাতে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জানালা দিয়ে চিৎকার করে স্থানীয় এক ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী। পরে ওই ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এগিয়ে আসে।